২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সাজেদা চৌধুরী আর নেই !

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণীঃ প্রবীণ রাজনীতিবিদ, জাতীয় সংসদের উপনেতা, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্ত্নত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১২ সেপ্টেম্বর, রবিবার দিবাগত রাত ১১-৪০ মিনিটে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী রাজধানীর সম্মিলিতি সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ । খবর বাপসনিউজ।
তার মৃত্যুর খবরে আরও শোক প্রকাশ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, চীফ হুইপ নুর-এ আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মিজা আজম, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়া,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড.মীজানুর রহমান সহ আরো অনেকে।
আওয়ামী লীগের উত্থান-পতনের সাক্ষী প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুর খবর শুনে রাজনৈতিক সহযোদ্ধা রাতেই কেউ কেউ হাসপাতালে ছুটে যান।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এর আগে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫৬ সাল থেকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯-১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এই সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি।
১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বিপর্যয়ের মুখে পড় আওয়ামী লীগ। সেই সংকটময় মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন সাজেদা চৌধুরী। ১৯৭৬ সালে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।

১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও তিনি পালন করছিলেন তিনি।

১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী।

২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন।
সাজেদা চৌধুরী গত নবম ও দশম সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা পদে তার বহাল থাকা-না থাকা নিয়ে আলোচনা চলছিল। তবে সবকিছুর অবসান করে ফের জাতীয় সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন সাজেদা চৌধুরী। ৮ মে ২০২২ এই জীবন্ত কিংবদন্তি নেত্রীর ৮৪তম জন্মদিন ছিল ।

সর্বশেষ