২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বরিশালে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার চরকাউয়ায় যুবলীগ নেতা খান মামুনের গণসংযোগ বাংলাদেশে বর্তমানে ভারতের তাবেদার সরকার শাসন করছে : বরিশালে ভিপি নুর বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ, ইমামের কক্ষে আগুন উজিরপুরে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার কাউখালীতে পাটি খাতে রূপালী ব্যাংকের ক্লাস্টার ভিত্তিক ঋণ বিতরণ বিআরডিবি'র কার্যক্রম পরিদর্শনে সচিববৃন্দ মনপুরায়, কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ ও উঠান বৈঠক বরিশালে ‘সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শহর রক্ষা বাধ দখলের মহোৎসব উজিরপুরে মাদকসহ জেলা ডিবি'র খাচায় ১ মাদক কারবারী আটক রাজাপুরে নিখোজ ভ্যান চালকের লাশ ভাসছিলো নদীতে

মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতাঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ স্বপন ফরাজী নামের এক অটো চালককে ইয়াবা পরিবহন করার সন্দেহে তল্লাশি করলে পুলিশ ও উপস্থিত সাংবাদিকদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ইয়াবা সরবরাহ করে অটোতে করে নিয়ে যাচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে বারোটায় উপজেলার লঞ্চঘাট রোড এলাকায় ওই অটোচালককে তল্লাশি করে মির্জাগঞ্জ থানার এস আই জালাল। এ সময় হবর পেয়ে সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, তারিকুল ইসলাম সুজন ও পল্লব সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় তল্লাশি করে কিছু না পেলে উপস্থিত পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকদের উপর ক্ষেপে গিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন অটো চালক। পরে খবর পেয়ে দুপুর ১ টার দিকে সাংবাদিক মেহেদী হাসান মুবিন ও আলামিন প্রিন্স সেখানে উপস্থিত হন। এর কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যে যার মত করে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে চলে যান।
এ ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হওয়ার পরে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি দালাল চক্রের প্ররোচনায় পটুয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে একটি অভিযোগ করেন অটোচালক।
ঘটনার বিষয় মির্জাগঞ্জ থানার এস আই জালাল আহমেদ জানান, আমি চলতি ডিউটিরত অবস্থায় ছিলাম। থানার ডিউটি অফিসার মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অটো চালককে তল্লাশি করি। এ সময় কিছু না পেলে সে আমার ও উপস্থিত সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। ইতিমধ্যে তার স্ত্রী মুক্তা আক্তার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বলেল আমাদের সাথে পারিবারিকভাবে যাদের সাথে দ্বন্দ্ব রয়েছে তারা কিছু রাখতে পারে। আপনারা আমার ভাই। তাকে যেভাবে হোক ছেড়ে দেন।পরে পরিস্থিতির স্বাভাবিক হলে ঘটনা আমি ওসি স্যারকে জানাই ওসি স্যার আমাকে চলে আসতে বলেন। এ সময় যে যার মত চলে যায়।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম বলেন, অটো চালককে পুলিশ তল্লাশি করে কিছু না পেলে সে উপস্থিত পুলিশ সদস্য ও আমাদেরকে বলে আমার মান-সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এর কারণে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় সে। ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হওয়ার পরে আমাদের প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ অটোচালককে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করার জন্য প্ররোচনা দেন। ওই গ্রুপটি একটি দালাল চক্র। পুলিশের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে সুবিধা নিতে না পেরে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিতর্কিত করার চেষ্টার ধারাবাহিকতার অংশ এটি।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক মুবিন জানান, আমরা সাংবাদিকতা পেশায় এসে সৎ ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করায় স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি গ্রুপের অনৈতিক অর্থ আয়ে ভাটাপাড়ায় আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হেও প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ওই অটো চালককে ফুসলিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করান তারা।

সর্বশেষ