নিজস্ব প্রতিবেদক—বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধারের পর গত ৫ দিনে পাশের বুড়িগঙ্গা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। অন্যদিকে প্রযুক্তির বিশ্লেষণ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ৪ নভেম্বরের আগে ১ ও ২ নভেম্বর ফারদিন দুইবার চনপাড়া এলাকায় গিয়েছিলেন। আর ৪ নভেম্বর ফারদিনের সঙ্গে আরেক যুবকও ছিলেন। ফারদিন নিখোঁজ এবং লাশ উদ্ধারের পরও ওই যুবকের হদিস মিলছে না।
ফারদিনের লাশ উদ্ধারের দুই দিন পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সরকারি তেল ডিপো যমুনা অয়েল কম্পানি ঘাটের কাছে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে এক যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। শরীরে আঘাতের চিহ্ন এবং সেলাইয়ের দাগ থাকা মৃতদেহটি পচে যাওয়ায় শনাক্তের নমুনা রেখে এক দিন পর দাফন করা হয়। সবশেষ গতকাল শনিবার ফতুল্লার পাগলা পানগাঁও এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে কচুরিপানার সঙ্গে ভাসমান অবস্থায় আরেক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
সূত্র জানিয়েছে, ফারদিনের সঙ্গে থাকা যুবকের সন্ধান না মেলা, ৪ নভেম্বর রাতে চনপাড়ায় মারধরের ঘটনা এবং বুড়িগঙ্গায় ভেসে ওঠা দুই যুবকের লাশ ঘিরে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নৌ পুলিশ ছাড়াও তদন্তকারী ইউনিটগুলো এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজছে। এদিকে সন্দেহভাজন হিসেবে চনপাড়া এলাকায় অপরাধকর্মে সক্রিয় তিন যুবককে নজরদারিতে রেখেছেন তদন্তকারীরা। রায়হান নামের এক যুবককে বরিশাল থেকে আটক করা হয়েছে। নূর জামাল নামের আরেক যুবককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এ ছাড়া র্যাব, নৌ পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিটও ছায়া তদন্ত করছে।
গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনা এখনও আমরা বের করতে পারিনি। আর ডিবির পক্ষ থেকে আমরা কখনো বলিনি, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন ডেমরার চনপাড়ায় গিয়ে মাদকের কারণে মারা গেছেন। আবার মামলার আসামি ফারদিনের বন্ধুকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি, তিনিই খুন করেছেন, সেটিও আমরা বলছি না। আমরা পারিপার্শ্বিকতা, বিভিন্ন বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করছি। আমাদের দল সব বিষয়, তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে বিচার-বিশ্লেষণ করছে। ’
সূত্র- বরিশাল টাইমস