অতিথি প্রতিবেদক ॥ প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পরে নিজস্ব ভবন পাচ্ছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়াটার্স। বিএমপি কমিশনারের কার্যালয় থেকে শুরু করে ১৩টি দপ্তরের জন্য বছরে ভাড়া গুনতে হতো প্রায় তিন কোটি টাকা। নতুন এ ভবনে ৬টি দপ্তর স্থানান্তর করা হচ্ছে। আগামি সপ্তাহে বিএমপি প্রধান কার্যালয়ের কাজ শুরু হবে নতুন ভবনে।
বরিশাল নগরীর বান্দ রোড এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে নেয়া ১৩৬ শতাংশ জমির উপর নির্মান করা হয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তর। ১০ তলা ফাউন্ডেশনের ৬ তলা বিশিষ্ট এ ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা। প্রায় ৯৯ হাজার বর্গফুটের এ ভবনে কাজ করতে পারবে মেট্রো পুলিশের ৬টি দপ্তরের অন্তত ৪ শতাধিক সদস্য। নতুন এ ভবনে অন্য সব স্পেস বাদ দিয়ে শুধু অফিস কক্ষ রয়েছে ৮৬টি। আগের যে কোন অবস্থানের চেয়ে এটি পুলিশি সেবা প্রদানে পর্যাপ্ত সুবিধাজনক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নতুন এ ভবনের কাজ শেষ হবার কথা ছিলো গত বছর জুন মাসে। কিন্তু করোনার কারণে এখানে ঘটে কাজের বিলম্ব। এদিকে এ ভবনের পরেও পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ আরো অন্তত ৭ টি দপ্তর থাকছে ভাড়া বাড়িতে। এরমধ্যে মেট্রো পুলিশের অঞ্চল দপ্তরগুলোও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই ভবনের কার্যক্রম শুরুর পর অন্য দপ্তরগুলোর নির্মান কাজও শুরু হতে পারে। সংশ্লিষ্টদের মতে ভাড়া বাড়িতে পুলিশি কার্যক্রম চালানো বিড়ম্বনার শামিল।
তবে কর্তৃপক্ষের ধারণা নতুন এ ভবনে পুলিশের একাধিক দপ্তরের কাজ করায় সেবা গ্রহীতারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন। পাশাপাশি ভাড়া বাড়ির বিশাল ব্যয়ও সাশ্রয় করা যাবে। আগামি সপ্তাহে এ ভবনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। উল্লেখ্য ২০০৬ সালের মাত্র ৪শ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। আর এখন সদস্য দুই সহস্রাধীক।
আজকের পরিবর্তন