২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঢাকা-বরিশাল রূটের চারটি লঞ্চের যাত্রা বাতিলঃ বিএনপি বলছে সরকারের চক্রান্ত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণী: বরিশাল-ঢাকা নৌপথে চালু থাকা লঞ্চগুলো যাত্রা বাতিল করছে। বরিশাল থেকে আজ রাতে পাঁচটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে চারটি লঞ্চই যাত্রীসংকটের কারণে যাত্রা বাতিল করেছে। শুধু একটি লঞ্চ যাত্রী পরিবহন করবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ কেন্দ্র করে সরকারের সঙ্গে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি লঞ্চ–সংশ্লিষ্টদের। যাত্রীসংখ্যা কমে যাওয়ায় লঞ্চগুলো ঢাকা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. কবির আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, আজ রাতে বরিশাল নদীবন্দর থেকে প্রিন্স আওলাদ, পারাবত-১১ ও ১৮, সুরভী-৭, সুন্দরবন-১১—এই পাঁচটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রী না থাকায় এর মধ্যে চারটি লঞ্চ বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা বাতিল করেছে। শুধু পারাবত-১১ লঞ্চটি ঢাকায় যাত্রী পরিবহন করবে।
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের কারণে যাত্রীসংখ্যা কম। প্রথম শ্রেণির কেবিনগুলো প্রায় ফাঁকা এবং ডেকেও তেমন যাত্রী নেই।
মো. কবির বলেন, ঢাকা থেকেও শুধু শুভরাজ নামের একটি লঞ্চ বরিশালের উদ্দেশে সদরঘাট থেকে যাত্রী পরিবহন করবে। এ ছাড়া ফারহান-৭ নামের আরও একটি ঢাকা থেকে ঝালকাঠির উদ্দেশে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসবে। ওই লঞ্চ বরিশাল ভায়া হয়ে ঝালকাঠি যাবে।
বরিশাল থেকে ঢাকা নৌপথে আজ মাত্র একটি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেই লঞ্চটিতেও তেমন যাত্রী নেই। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বরিশাল নৌবন্দরে
বরিশাল থেকে ঢাকা নৌপথে আজ মাত্র একটি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেই লঞ্চটিতেও তেমন যাত্রী নেই। স
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকার ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে নানা পন্থা নিচ্ছে। এ উদ্দেশ্যেই লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা আগেই ঢাকা এসে পৌঁছেছি।’
সন্ধ্যায় পারাবত-১১ লঞ্চে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চটিতেও তেমন যাত্রী নেই। ডেক শ্রেণিতেও যাত্রী তেমন ছিল না। লঞ্চের স্টাফ মো. সুমন বলেন, ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের কারণে যাত্রীসংখ্যা কম। প্রথম শ্রেণির কেবিনগুলো প্রায় ফাঁকা এবং ডেকেও তেমন যাত্রী নেই। একইভাবে ঝালকাঠি থেকেও আজ কোনো লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি।
একইভাবে যাত্রীসংকটের অজুহাতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে থেকে বরগুনা থেকেও ঢাকার লঞ্চ বন্ধ রয়েছে। এতে ওই জেলার যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। এমকে শিপিং লাইনসের বরগুনার ঘাটের পরিদর্শক এনায়েত হোসেন বলেন, বরগুনা থেকে বৃহস্পতিবার ঢাকার লঞ্চ ছাড়েনি। অল্প কয়েকজন যাত্রী এসেছিলেন। তাঁরাও টিকিট নিতে পারেননি। মূলত ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনার কারণে যাত্রীরা ঢাকায় যাচ্ছেন না। এ কারণেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ।
এনায়েত হোসেন বলেন, ‘বন্ধ রাখার কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। বরগুনা থেকে ঢাকায় বন্ধ রয়েছে। তবে ঢাকা থেকে লঞ্চ আসছে। একইভাবে বরগুনা থেকে ঢাকার পথে বাস চলাচলও আজ সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।’

সর্বশেষ