১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বিয়ের দাবী নিয়ে ইডেন পড়ুয়া ছাত্রী চরফ্যাশন প্রেমিকার বাড়িতে ২দফা অনশন! শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যার চেস্টা, গ্রেপ্তার-১ সাংবাদিক শাহিন হাফিজের "মা" র মৃত্যু, এনডিবিএ'র শোক প্রকাশ মহাসড়কে যানবাহনের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করতে বরিশাল জেলা প্রশাসনের অভিযান পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী  উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান বরিশালে গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক বানারীপাড়ায় তহশিলদার ও সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রিজন সেলে হাজতিকে হত্যার দাবি স্বজনদের, কারারক্ষীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দাম বেড়ে ফের রেকর্ড, স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ২০ চরকাউয়া ইউনিয়ন যুবলীগের মতবিনিময় সভায় খান মামুন

ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী টাইমস ইউনিভার্সিটি ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

জুবাইয়া বিন্তে কবির (জুবা)-ঃ- পুরো মাঠভর্তি লাখ লাখ মানুষ। সবাই ঘুড়ি ওড়ানো নিয়ে ব্যস্ত। এটি ‘বাকাট্টা’ অর্থাৎ ঘুড়ি কাটাকাটির প্রতিযোগিতার দৃশ্য। একজন অন্যজনের ঘুড়ির সুতা কাটার কসরত করে। কে কার ঘুড়ি কাটতে পেরেছে সে প্রতিযোগিতা, ঘুড়ি কেটে ফেলার আনন্দ আর চিৎকার। ‘বাকাট্টা’, ‘বাকাট্টা’ বলে চিৎকার। আতশবাজি পটকা ফোটানোর আওয়াজ। মাঠেই রান্নাবান্না পোলাও, মুরগি, গরু ও খাসির গোশতসহ নানা আয়োজন। মুক্ত আকাশে লাল, নীল, হলুদ, সবুজ রঙিন সব ঘুড়ির ওড়াউড়ি। সন্ধ্যার পর আতশবাজির আলোয় আবারও আকাশ ভরে ওঠে। আগুন মুখে নিয়ে খেলা। আকাশে রঙবেরঙের ফানুস। দিনভর ঘুড়ি ওড়ানোর পাশাপাশি সন্ধ্যায় বর্ণিল আতশবাজি ও রঙবেরঙের ফানুসে ছেয়ে যায় পদ্মার তীরবর্তী ফরিদপুরের আকাশ।আবহমান গ্রাম-বাংলা থেকে হারাতে বসেছে সেই চিরচেনা ঘুড়ি ও ফানুস উৎসব। তাই এই হারানো ঐতিহ্যকে ফেরাতে ও বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে টাইমস ইউনিভার্সিটির পৃষ্ঠপোষকতায় আজ (৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার) “চলো হারাই শৈশবে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিকেলে শহরতলীর ধলার মোড় নামক এলাকায় ফরিদপুর সিটি পেজের উদ্যোগে ও ফরিদপুর টাইমস ইউনিভার্সিটির পৃষ্ঠপোষকতায় এ ঘুড়ি ও ফানুস উৎসবের আয়োজন করা হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এ উৎসব দেখতে লাখ লাখ মানুষের ঢল নামে বলে জানান এ ঘুড়ি ও ফানুস উৎসবের পৃষ্ঠপোষক টাইমস ইউনিভার্সিটির সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ আবির হোসেন দিদার। আয়োজক কর্তৃপক্ষ ফরিদপুর সিটি পেজের সভাপতি মো: এমদাদুল হাসান বলেন, এ উৎসবে বিজয়ী ১৫ জন প্রতিযোগীকে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার প্রদান করা হয়। ৬ষ্ঠ তম এ ঘুড়ি ও ফানুস উৎসব আজ সকালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব রেজভী জামান এর সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ফরিদপুরের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার। প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো: কামরুল আহসান তালুকদার তার বক্তব্যে বলেন, এই উৎসবের সাথে বাঙালির আবেগ জড়িত। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামীতে জেলার সকল উপজেলাতে এ ধরনের আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হবে।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শাহজাহান ও ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস। এসময় টাইমস ইউনিভার্সিটির বিবিএ অনুষদের ডিন ড. মোঃ কামরুজ্জামান,  সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ মুশফিকুর রহমান শান্ত, আইন অনুষদের প্রভাষক মোঃ আরিফুজ্জামানসহ টাইমস ইউনিভার্সিটির সংশ্লিষ্ট শিক্ষক – কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন। মূল অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বিকেলে। এ সময় ধলার মোড়ের আকাশ বিভিন্ন রং ও আকৃতির ঘুড়িতে নৈসর্গিক রুপ ধারণ করে। প্রায় সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত শত শত ঘুড়ি আকাশে উড়তে দেখা যায়। সন্ধ্যার পরে ঘুড়ির সঙ্গে ফানুসও ওড়ানো হয়। এসময় লাখ লাখ মানুষের পদচারণায় স্থানটি দারুণভাবে উপভোগ্য হয়ে ওঠে। উৎসবে কয়েকটি স্টল ছিলো সেখানে পিঠা, ঘুড়ি, ফানুস, নাটাই, ফুচকাসহ হরেক রকমের আয়োজন ছিলো। উৎসবে ১০জন ঘুড়ি শিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয় টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে এছাড়াও গেজেট শপ ফরিদপুর এর পক্ষ থেকেও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। লাখ লাখ দর্শনার্থীর মিলন মেলায় পরিনত হয় ধলার মোড়ের পদ্মার চর। সব বয়সের দর্শনার্থীরা উৎসবে অংশগ্রহন করেন।

এবার আসুন জেনে নেই পৃথিবীতে ঘুড়ি উড়ানোর ইতিহাসঃ- ঘুড়ির ইতিহাস কিন্তু অনেক প্রাচীন। কাহিনিটা এ রকম—কোনো এক ঝড়ের দিনে একজন কৃষক বিপাকে পড়েছিলেন। বাতাসে উড়ে যেতে চাইছিল তাঁর মাথালটি। তখন একটি রশি দিয়ে তিনি মাথালটি শক্ত করে বাঁধলেন। রশির গোড়া রাখলেন ডান হাতে; কিন্তু এমনই ঝড় যে মাথালটিকে মাথায় থাকতে দিচ্ছিল না। রশির আগায় চড়ে উড়ছিল ক্ষণে ক্ষণে। পৃথিবীর প্রথম ঘুড়ি নাকি সেটাই। আরিবা রেজা এরপরের খবরও জানতে চেয়েছিলেন

প্রথম ঘুড়ির বয়স তিন হাজার বছর হতে পারে। কৃষকটি কিন্তু চীন দেশের ছিলেন। মাথাল ঘুড়ির ব্যাপারটি লোকগাথা পড়ে জেনেছেন গবেষকরা। নিশ্চিত হয়েছেন হান রাজবংশের জেনারেল হান শিনের ঘুড়ির ব্যাপারে। হান শিন একবার একটি শহর দখলে আনতে চাইছিলেন। যেখানে নিজের সেনাবাহিনী জড়ো করেছিলেন, সেখান থেকে শহরের প্রকৃত দূরত্ব জানা তাঁর দরকার হয়ে পড়েছিল। কারণ তিনি একটি সুড়ঙ্গ খুঁড়তে চাইছিলেন। তখন ঘুড়ি উড়িয়ে শহরের মাথায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর সুতার মাপে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শহরটি জয় করেছিলেন। এটা খ্রিস্টপূর্ব ২০০ অব্দের ঘটনা। প্রাচীনকালে বাতাসের গতি মাপার জন্য এবং সংকেত পাঠানোর জন্য ঘুড়ির ব্যবহার ছিল। চীনা ঘুড়িগুলোয় পুরাকাহিনির চিত্র আঁকা থাকত। ঘুড়ি তারপর চীন থেকে গেছে কোরিয়ায়। সেখানেও একটি যুদ্ধের ঘটনা আছে। ৬০০ সালের কথা। সিলা রাজবংশের জেনারেল গিম ইউ সিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি বিদ্রোহ দমনের জন্য; কিন্তু তাঁর সৈন্যরা যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানায়। কারণ আকাশ থেকে তারা খসে পড়তে দেখেছিল, যা তাদের দৃষ্টিতে ছিল অশুভ। পরে জেনারেল বুদ্ধি করে একটি ঘুড়িকে বাহন করে আকাশে আগুনের গোলা (ফায়ার বল) পাঠিয়েছিলেন। সৈন্যরা ভাবল, তারা স্বর্গে ফিরছে। তাই আবার যুদ্ধে ফিরে আসতে সম্মত হয়েছিল। জাপানে ঘুড়ি নিয়ে গিয়েছিল বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। সেটা সপ্তম শতক। লোকে বিশ্বাস করত, ভিক্ষুরা ঘুড়িতে চড়িয়ে অশুভ আত্মাকে দূরে সরিয়ে দেয়; তাই ফসল ভালো হয়। জাপানে পরে ঘুড়ি ওড়ানো এতই জনপ্রিয় হয় যে লোকেরা কাজে যেতে চাইত না। তাই সরকারকে ফরমান জারি করতে হয়েছিল। ৯০৬ অব্দে রাশিয়ার রাজপুত্র নভগরদের ওলেগ কনস্টান্টিনোপল দখল নিতে চেয়ে ঘুড়ি উড়িয়েছিলেন। এখনো কিন্তু ফিলিস্তিনের ছেলেরা ঘুড়িতে করে আগুনবোমা পাঠায় ইসরায়েলিদের সেনাচৌকিতে।

মোগল ভারতের মিনিয়েচার চিত্রকলায় ঘুড়ি ওড়ানোর নমুনা দেখা যায়। ১৫ শতকের কথা এটি। সে আমলে ঘুড়ি ভালোবাসার কথা বয়ে বেড়াত। বিষয়টি এমন—প্রেমিকের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে প্রেমিকাকে। বিরহী প্রেমিক ঘুড়ি পাঠিয়ে জানান দিত—ভুলিনি তোমায়। মকর সংক্রান্তিতে (জানুয়ারির মাঝামাঝি) ভারতে ঘুড়ি কাটাকাটির বিরাট উৎসব হয়; বিশেষ করে ভারতের গুজরাট, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান আর পাঞ্জাব একদিক থেকে ঘুড়িরই রাজ্য। ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবস আর বিশ্বকর্মা পূজার দিনও অনেক ঘুড়ি ওড়ে। পৌষের শেষে ঢাকায়ও ঘুড়ি উৎসব হয়। সাকরাইন নামে পরিচিত এ উৎসব ঢাকার অন্যতম পুরনো উৎসব। উল্লেখ্য, নাবিকরা মালয়েশিয়ায় ঘুড়ি নিয়ে গিয়েছিল জাপান থেকে ষোলো বা সতেরো শতকে। মালয়েশিয়ার মালাক্কায় একটি ঘুড়ি জাদুঘরও আছে।

মাছের জন্য ঘুড়ি টোপঃ- প্রশান্ত মহাসাগরের ৬০০ দ্বীপের দেশ মাইক্রোনেশিয়ার লোক ঘুড়িতে করে গার মাছের জন্য টোপ পাঠাত। মাছটি স্থলভাগ থেকে কিছু বেশি দূরেই থাকে। আগের দিনের সিঙ্গাপুরেও মাছ ধরার জন্য ঘুড়ির ব্যবহার ছিল। এদিকে পলিনেশিয়ার লোকে বলে বেড়ায় তাদের দুই দেবতার মধ্যে ঘুড়ি ওড়ানোর লড়াই হয়েছিল। যে জিতেছিল তার ঘুড়ি পৌঁছে গিয়েছিল দূরতম আকাশে। সে উপলক্ষে পলিনেশিয়ায় বিরাট ঘুড়ি উৎসব হয় ফিবছর।

মার্কো পোলো নিয়ে গেলেনঃ- ইউরোপে ঘুড়ির গল্প নিয়ে গিয়েছিলেন মার্কো পোলো ১৩ শতকে। তবে ইউরোপিয়ানরা ঘুড়ি খেলায় বেশি মজা পায়নি। আমেরিকানরা ঘুড়িকে বিজ্ঞান গবেষণার হাতিয়ার বানিয়েছিল। ১৭৫২ সালে বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ি উড়িয়ে বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেছিলেন। বিমান আবিষ্কারের প্রস্তুতি পর্বে রাইট ভাইয়েরাও ঘুড়ি উড়িয়ে দেখেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ, ফরাসি, ইতালীয় বা রাশিয়ান সেনারা শত্রুপক্ষের অবস্থান জানার জন্য ঘুড়ি উড়িয়েছে অনেক।

ঘুড়ি দেশে দেশেঃ- পোকা, প্রাণী বা পাখির সুরতে ঘুড়ি বানাতে ভালোবাসে চীনারা। মাঝখানে বাঁশের দণ্ড রেখে সিল্ক কাপড়ের ঘুড়ি বানায় তারা। আফগানরাও ঘুড়িপ্রিয় জাতি। পাকিস্তানিরা ঘুড়ি বাজি করতে পছন্দ করে। বসন্ত উৎসবে লাহোরিরা বেশি ঘুড়ি ওড়ায়। ইন্দোনেশিয়ার আকাশেও অনেক ঘুড়ি উড়তে দেখা যায়, বিশেষ করে বালির আকাশে। প্রজাপতি, ড্রাগন ইত্যাদির চেহারায় ঘুড়ি বানায় বালিনিজরা। ভিয়েতনামের ঘুড়িগুলোর লেজ থাকে না; বরং লেজের জায়গায় একটি ছোট্ট বাঁশি লটকে দেয়। সেটি বাতাসে মধুর শব্দ তৈরি করে। দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিলের শিশুরা ঘুড়ি খুব পছন্দ করে। সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ চিলিতে স্বাধীনতা দিবসে প্রচুর ঘুড়ি ওড়ে। পেরুর লোকও ঘুড়ি পছন্দ করে। ইস্টারে গায়ানায় ঘুড়ি ওড়ানো হয়। শেষমেশ খালেদ হোসাইনির কাইট রানারের কথা বলতে হয়। তিনি ওই নামে একটি উপন্যাস লিখেন ২০০৩ সালে। ২০০৭ সালে এ বই থেকে চলচ্চিত্রও তৈরি হয়। চলচ্চিত্রটিও দারুণ আলোচিত।

টাইমস ইউনিভার্সিটি ঘুড়ি উৎসবকে মানুষের ঐক্য এবং বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। এই উৎসবকে মাথায় রেখে টানা এক সপ্তাহ ফরিদপুরের রাস্তাগুলোর অধিকাংশ গলিতে আর খোলা ছাদে হয় সুতা মাঞ্জা দেওয়ার ধুম। রোদে সুতা শুকানোর কাজও চলে পুরোদমে। টাইমস ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক জনাব মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের ঘুড়ি উৎসবে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন জৌলুস বেড়েছে, নানারকম জিনিস এসে ঢুকছে। ঘুড়ি বাকাট্টার প্রতিযোগিতা অর্থাৎ কাটাকাটির বিষয়, সেটার জন্য তো বড় জায়গা লাগে তাই পদ্মারপাড়ে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। লাউড স্পিকারে গান বাজানো হয়। এক সময় ঘরে ঘরে মুড়ির মোয়া, বাকরখানি আর পিঠা বানানোর ধুম পড়ত। বর্তমানে এ উৎসবে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব এলাকায় চলে আতশবাজির খেলা। তিনি আরো বলেন, এক সময় সাকরাইনে পুরান ঢাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইদের নাটাই, বাহারি ঘুড়ি উপহার দেওয়া এবং পিঠার ডালা পাঠানো হতো। ডালা হিসেবে আসা ঘুড়ি, পিঠা আর অন্যান্য খাবার আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়ার লোকদের মধ্যে বিলি করার রেওয়াজ ছিল।

টাইমস ইউনিভার্সিটির ভিসির কথাঃ- উৎসব আয়োজন প্রসঙ্গে টাইমস ইউনিভার্সিটির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এএইচএম আক্তারুল ইসলাম বলেন, ঘুড়ি উৎসব আমাদের দেশের একটি ঐতিহ্য। কালের পরিক্রমায় ও যান্ত্রিক জীবনের বাস্তবতায় আমরা অনেকেই ভুলতে বসেছি। দেশের ঐতিহ্য লালন, সংরক্ষণ এবং প্রসারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে রূপরেখা ঘোষণা করেছেন সে ধারাবাহিকতায় আমরা বেশ কয়েকবছর ধরে এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করছি। এই উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত, সার্বজনীন বলে তিনি জানান।
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আক্তারুল ইসলাম আরো বলেন, আমরা ফরিদপুরসহ দেশের সকল মানুষকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ঐতিহ্যের সুন্দর, সচল, সুশাসিত ও উন্নত দেশ গড়ে তুলতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, এই আয়োজন ফরিদপুর তথা দেশের ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ফিরিয়ে আনতে একটি মাইলফলক হিসেবে ভূমিকা রাখবে। নির্মল বিনোদনের জন্য প্রতি বছর এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়। টাইমস ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শরীফ এম আফজাল হোসেন ফরিদপুরবাসীর জন্য প্রতিবছর এই উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করেন। আমরা ওই ধারা অব্যাহত রেখেছি। তিনি উৎসবমুখর পরিবেশে সকলকে ঘুড়ি উৎসবে যোগ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।

সর্বশেষ