১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

           ✒️জুবাইয়া বিন্তে কবির (জুবা)🎓

বিদ্যার সঙ্গে বিনয়, শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষা, কর্মের সঙ্গে নিষ্ঠা, জীবনের সঙ্গে দেশপ্রেম এবং মানবীয় গুণাবলির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অতিক্রম করেছে পথচলার ৭৪টি বছর। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সময়ের প্রয়োজন মেটাতেই সেখান থেকে এগিয়ে চলা সংগঠনের। জন্মলগ্ন থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সামনে সারিতেই ছিল সংগঠনটি।

তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় একঝাঁক সূর্যবিজয়ী স্বাধীনতাপ্রেমী তারুণ্যের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়া মহাদেশের ‘বৃহত্তম’ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪ বছরের ইতিহাস জাতির মুক্তির স্বপ্ন, সাধনা এবং সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার আগে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংগঠনটির দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে দেশ ও জাতির জন্য গৌরবময় অসংখ্য অর্জন। সমৃদ্ধ সেসব অর্জন জাতিকে দিয়েছে নতুন পথের ঠিকানা। স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের যেভাবে হলো, সে শব্দ প্রাপ্তিতে সংগঠনটির অবদান ইতিহাসের পাতায় আজও উজ্জ্বল হয়ে আছে।

বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন সময়ে কোনো কাজ করতে চাইলে অধিকাংশ সময় তা ছাত্রলীগ দিয়ে শুরু করতেন। বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাকালীন ছাত্রনেতাদের চিঠি লিখে আন্দোলনের গতি বেগবান করতে দিকনির্দেশনা দিতেন। বলা যায়, ছাত্রদের রাজনৈতিক সক্রিয়তা এবং তাদের সংগঠিত করার প্ল্যাটফরম হিসেবে তিনি ছাত্রলীগকে প্রাধান্য দিতেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মেধাবী ছাত্র বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় রাজপথে ছিলেন সদা সোচ্চার। রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ধর্মঘটে তিনি ও কয়েকজন সহকর্মীসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন।

বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের সরব উপস্থিতি এবং সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে দাবি আদায়ে ছাত্রলীগের ভূমিকা জাতির পিতা তার লেখনীতে তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেন, ‘আওয়ামী লীগ গড়ে ওঠার পূর্ব পর্যন্ত একমাত্র ছাত্রলীগই সরকারের অত্যাচার-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করত এবং জনগণ ও ছাত্রদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরত। ছাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের নেতাকর্মীদের অনেক অসুবিধা ভোগ করতে হয়েছে। মুসলিম লীগ সরকার ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠানকে খতম করার জন্য চেষ্টার ত্রুটি করে নাই।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী পৃষ্ঠা নং-২৩৬)।

দেশের বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর সর্বপ্রথম মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছিল। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জল ভূমিকা ছিল। বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছিল অনেককে। তারপর আমরা আমাদের ভাষা হিসেবে বাংলাকে পেয়েছি।

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন, যাতে ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর ভ্যানগার্ড ছিল। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুর্বার ছাত্র আন্দোলন গড়ে, তোলে যা বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি দিয়েছিলেন, যা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন বেগমান হয়। তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাহসী আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন সভা-সমাবেশে, বক্তৃতায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অবদানের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রলীগের ইতিহাস’, ‘দেশ গড়ার জন্য সোনার ছেলে চাই; সেই সোনার ছেলে গড়ার কারিগর ছাত্রলীগ’। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নাম। জেল-জুলুম আর অত্যাচার-নির্যাতনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ছিল জর্জরিত। তার যৌবনের ১৩টি বছর কেটেছে পাকিস্তান কারাগারে। ১৯৬৯ সালে ২১ দফা আন্দোলনের ভিত্তিতে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান জেল থেকে মুক্তি পান শেখ মুজিবুর রহমান। ২৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ জাতির পক্ষ থেকে বক্তৃতার করে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনকর্মের সঙ্গে তাই ছাত্রলীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত; এটি চিরন্তন সত্য।

বঙ্গবন্ধুর নিজের প্রচেষ্টায় ছাত্রলীগকে ছাত্রদের মাঝে একটি জনপ্রিয় সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে তারই সুযোগ্যকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের কাছে একটি জনপ্রিয় সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলাদেশে ছাত্ররাজনীতির ইতিবাচক ধারণা বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এসেছে। ছাত্ররাই ছাত্ররাজনীতির নেতৃত্ব দেবে-এ উপলব্ধি থেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসার বয়সসীমা ২৭ বছর নির্ধারণ করে দেন; যা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। গর্বের সঙ্গে বলা যায়, যে কোনো সংকটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রয়েছে অনন্য অবদান।

১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে তৎকালীন ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্যানগার্ড হিসেবে ছাত্রলীগ কাজ করত। সারা বাংলাদেশে পাকিস্তানের অপশাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্বাচিত করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ছাত্রলীগ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে, যার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের গতি ত্বরান্বিত হয়।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। নূরে আলম সিদ্দিকী, তোফায়েল আহমেদ-সহ তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে প্রতিটি জেলায়, উপজেলায়, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিল।

জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ ও যুক্ত করার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। ৩০ লাখ শহীদদের রক্তের মধ্য দিয়ে লাল-সবুজের পতাকা আমরা পেয়েছি, যাতে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ একটি দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশ অনেক দূর পিছিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন থেমে থাকেনি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে ছাত্রলীগ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা প্রশংসনীয়। গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যুদ্ধাপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।

অতীতে বাংলাদেশে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণের নেতৃত্বে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় এবং শাখা কমিটি যেভাবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন একইভাবে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। যার ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার সরকারের পতন হয় এবং গণতান্ত্রিক সরকারের উত্থান হয়। যাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ১/১১’র সময় শেখ হাসিনাসহ ছাত্র-শিক্ষক সবার মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। যার ধারবাহিকতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সব রাজবন্দি মুক্তি পেয়ে ২০০৮ সালে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরের লক্ষে কার্যক্রম শুরু হয়। যাতে প্রধান অন্তরায় ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা।
২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম সারা বাংলাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘সেভ ক্যাম্পাস ক্লিন ক্যাম্পাস’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। ‘সেভ ক্যাম্পাস ক্লিন ক্যাম্পাস’ কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্রলীগকে ইতিবাচক কর্মসূচিতে যুক্ত করেন সজীব ওয়াজেদ জয়; যা নতুন করে ছাত্রসমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে প্রভাববিস্তার করতে সক্ষম হয়। সে ধারাবাহিকতায় বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও  সাধারণ সম্পাদক লেখক ছাত্রলীগকে নিয়ে গেছেন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়; বিশেষ করে করোনাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় এবং কর্মহীন ও অসহায় হয়ে পড়া দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। শুধু ত্রাণ কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ নয়, করোনায় মৃতদের লাশ দাফনের মতো মহান কাজও করেছে ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এমন মানবিক আচরণ সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এছাড়াও বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও বিপ্লবি সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ‘সুবিধাজনক সময়ে’ অনুষ্ঠিতব্য এসব কর্মসূচির মধ্যে আছে—প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ’ শীর্ষক মতবিনিময়; কনসার্ট ফর স্মার্ট বাংলাদেশ আয়োজন; ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনীর আয়োজন; ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক ইউনিটের দলীয় কার্যালয়ে গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা; স্মার্ট বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড আয়োজন; দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরস্কারপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চা-চক্র সহ নানান কর্মসুচি। আশাকরি এসব কর্মসূচি সাধারণ মানুষের মাঝে আরো বেশি প্রশংসা কুড়াতে পারবে।

সূর্যের আলোর মতো তেজোদীপ্ত হয়ে গণমানুষের অধিকার আদায়ে নিয়মিত রাজপথে সোচ্চার এবং ছাত্রসমাজের অভিভাবক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে চলেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বর্তমান সময়েও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাত্রসমাজের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছাত্র সংগঠন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরের লক্ষে ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মী রাজপথে সাহসী ভূমিকা রেখেছে। ছাত্রলীগের ইতিহাসে যেমনই হাজার হাজার যোগ্য নেতার জন্ম হয়েছে তেমনই কিছু সংখ্যক অযোগ্য নেতার জন্ম হয়েছে। যার কারণে মাঝে-মধ্যে বিতর্কিত হতে হয় বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংঠনটিকে। তবে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সময়োপযোগী নেতৃত্বে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অবিচল। ছাত্রলীগ সব ভুল সংশোধন করে আগামীদিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনায় কাজ করে গেলে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন থাকবে। জাতির পিতার নিজ হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাবে নিরন্তর, সে প্রত্যাশা রইল। ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরবময় ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের শুভাকাঙ্ক্ষী এবং লাখ লাখ নেতাকর্মীদের প্রতি স্বশ্রদ্ধ সালাম ও শুভেচ্ছা।
✒️লেখকঃ জুবাইয়া বিন্তে কবির (জুবা)
অর্থনীতিবিদ ও কলামিস্ট।

সর্বশেষ