১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যার চেস্টা, গ্রেপ্তার-১ সাংবাদিক শাহিন হাফিজের "মা" র মৃত্যু, এনডিবিএ'র শোক প্রকাশ মহাসড়কে যানবাহনের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করতে বরিশাল জেলা প্রশাসনের অভিযান পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী  উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান বরিশালে গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক বানারীপাড়ায় তহশিলদার ও সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রিজন সেলে হাজতিকে হত্যার দাবি স্বজনদের, কারারক্ষীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দাম বেড়ে ফের রেকর্ড, স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ২০ চরকাউয়া ইউনিয়ন যুবলীগের মতবিনিময় সভায় খান মামুন রাজাপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে মাইক্রোবাসে আগুন

শিক্ষা উপবৃত্তির নামে প্রতারণা করে বিকাশে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে শিক্ষা উপবৃত্তি দেওয়ার নামে শিক্ষা বোর্ডের কথা উল্লেখ করে ০১৮৬৩৫৭৬২১৮ নম্বর এ যোগাযোগ করার কথা বলে অভিভাবকের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে প্রতারণা করে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। আজ সোমবার দুপুরে কেশবপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারের এমন ঘটনা ঘটে। ভাগ্যক্রমে বিকাশ এজেন্টের ব্যবসায়ীর সচেতনতায় ওই প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পয়েছেন এক মাদরাসা শিক্ষক। ওই শিক্ষকের নাম মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন। তিনি কেশবপুর ফজলুল হক ফাজিল মাদ্রাসায় প্রভাষক পদে কর্মরত আছেন।
জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারী ওই শিক্ষকের মোবাইলে ০১৫৭৬৬৫০৬১১ এই নম্বর থেকে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। তাতে উল্লেখ ছিল, প্রিয় শিক্ষার্থী করোনা ভাইরাসের কারণে তোমাদের উপবৃত্তির ৪ হাজার ২০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। টাকা গ্রহনের জন্য শিক্ষাবোর্ডের ০১৮৬৩৫৭৬২১৮ এই নম্বরে যোগাযোগ করুন। ক্ষুদে বার্তা পেয়ে ওই শিক্ষক একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেননি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় ওই নম্বরে ফোন দিলে তা রিসিভ করে এক ব্যক্তি বলেন আপনার বিকাশ নম্বর দিন। এরপর ওই শিক্ষক একটি বিকাশ নম্বর দিলে তিনি বলেন আপনার নম্বরে একটি ভ্যারিফিকেশন কোড নম্বর যাবে সেটি ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে দিতে হবে। কথা অনুসারে ওই ভ্যরিফিকেশন কোড নম্বর দেন শিক্ষক। এরপর শিক্ষকের মোবাইলে ১২ হাজার ৫০০ টাকার একটি বিকাশের ম্যাসেজ আসে। তখন ওই প্রতারক চক্র বলেন আপনি বিকাশের কোন দোকানে গিয়ে আপনার বিকাশ নম্বরে ২২ হাজার ৫০০ টাকা সেন্ট করে একটি পিন নম্বর পাবেন। সেই পিন নম্বর দিয়ে এক সাথে পুরো টাকা তুলে নিবেন। এ সময় ফোনের লাইন কাটা যাবেনা এবং দোকানে কোন কথা বলা যাবেনা বলে জানান ওই প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রের কথা অনুসারে ওই শিক্ষক কেশবপুর চৌমুহনী বাজারে গিয়ে শাহীন নামে এক বিকাশের দোকানীকে নিজের বিকাশ নম্বরে ২২ হাজার ৫০০ টাকা সেন্ট করতে বলেন। এসময়ে দোকানী বিভিন্ন প্রশ্ন করলে এবং প্রতারক চক্রের কথায় ওই শিক্ষকের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয় পরে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পান তিনি।
দোকানী শাহীন বলেন, এভাবে ভ্যারিফিকেশন কোড নম্বর নিয়ে প্রতারক চক্র বিকাশের গোপন পিন নম্বর জেনে টাকা সেন্ট করার সাথে সাথে তা হাতিয়ে নেয়।

সর্বশেষ