এম সাইফুল ইসলাম রাজু-
বরিশাল শহরে প্রতিদিনই ঢুকছে ছোট বড় মাদকের চালান। শহর থেকে পেরিয়ে গ্রাম অবধি পৌছে গেছে মাদক। আর এসব মাদক বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে বিভিন্ন জেলায় প্রবেশ করছে। তার মধ্যে অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে মটর সাইকেল তল্লাশি করলেও মানবিক বা যাত্রী বিবেচনায় বাস, পিকআপ, প্রাইভেটকার , এ্যামবুলেন্স চেক করা হচ্ছে না।
এতে করে অনেক সময় অপরাধীরা পাড় পেয়ে যাচ্ছে। এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে এ্যামবুলেন্সে করে অনেক সময় রোগীর অযুহাত দেখিয়ে মাদক পাঁচার করা হচ্ছে। ভিতরে রোগী না থাকায় সত্তেও সাইরেন বাজিয়ে তারা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মাদক বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। আর চারপাশে কালো গ্লাস বা স্টিকার দিয়ে আটকিয়ে রাখার ফলে ভিতরে রোগী আছে কিনা তা বোঝা মুশকিল। সড়কে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা মানবিক কারনে ছেড়ে দিচ্ছে।
ফলে অনেক সময় এ্যামবুলেন্সে করে মাদক পাচার করছে মাদকব্যবসায়ীরা। অপরদিকে বরিশাল নগরীর জুড়ে দেখা গেছে সরকারী, বেসরকারী ও ব্যক্তিগত গাড়িতে কালো গ্লাসের ব্যবহার বেশি। ব্যক্তিগত গাড়িতে কালো গ্লাস লাগিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে । এতে করে অপরাধ প্রবনতা বৃদ্দি পাচ্ছে। কেননা কালো গ্লাস থাকার কারনে ভিতরে কি হচ্ছে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। এমনকি কাউকে অপহরন করা হলেও বোঝার উপায় নেই। গাড়ীতে কালো গ্লাস ব্যবহারের বৈধতা আছে কিনা এ ব্যাপারে একটি সূত্র জানায়, সরকারী গাড়িতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কালো গ্লাস ব্যবহার করতে পারবে বলে বিধান রয়েছে । কিন্তু ব্যক্তিগত গাড়িতে কালো গ্লাস ব্যবহার করতে পারবে না। যদি ব্যবহার করতে হয় তাকে বিআরটিএ অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
এ ব্যাপারে বরিশাল ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক ( শহর ও যানবাহন) মোঃ আঃ রহিম বরিশাল বাণীকে জানান, কালো গ্লাস ব্যবহার বন্ধে আমাদের ট্রাফিক বিভাগ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। অনুমতি ব্যতীত কেউ গাড়িতে কালো গ্লাস কিংবা স্টিকার লাগালে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া সড়কে চলাচলরত এ্যামবুলেন্স ,পিকআপ , সহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে । যাতে কেউ মাদক বহন কিংবা পাঁচার করতে না পারে । তিনি আরো বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। আমাদের টিম আরো জোরদার হওয়ার পাশাপাশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।