শুভজ্যোতি মন্ডল মানিক:
চিকন চাকন গড়নের অমল চাঁদ একটা মুদি দোকানের মালিক। ছেলেমেয়ের পড়াশুনা সংসার খরচ ভালোভাবে সামলানোর মতোই আয়। অমল চাঁদের স্ত্রী স্বভাব চরিত্রে থানার বড় সাহেবের মতোই কড়া। মাঝেমধ্যে স্বামীর পকেট ঝেড়ে বাপের বাড়ি চালান করা অভ্যেসে পরিনত হয়েছে সবিতা রাণীর। চার ছেলেমেয়ের মা হওয়া সত্ত্বেও ছুরি সাজার ইচ্ছে মনের মধ্যে লালন করেন, নিত্য নতুন শাড়ী গহনা মেকআপ পারফিউম দামী ব্রান্ডের না হলে বাড়িটাকে মাছের বাজার করে তোলেন। খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে তেলে ঝোলে না হলে স্বামীর মাথাটা চিবিয়ে খান।
অমল চাঁদ বাইরে কারো কথা তেমন একটা তোয়াক্কা করেন না, বউয়ের কথা না শুনলে ভদ্রলোক হওয়া যায়না বিধায় বউয়ের আবদার হুমুক তামিল করার ক্ষেত্রে বেশ সুপুরুষ। লোকজন পিছনে পিছনে অমল চাঁদকে মহিলা পুরুষ বলে সম্বোধন করলেও খুব একটা কর্ণপাত করেন না, বউকে সে লক্ষ্মীর আসনে বসিয়ে নিজে পেঁচা সেজে আছেন বহু বছর; একারনে লক্ষ্মী ভোজে নিজেকে নিংড়ে দিচ্ছেন।
বাবা মা’র খোঁজ খবর তেমন একটা রাখেন না, লক্ষ্মী পূজায় ঘাটতি হতে পারে ভেবে। ভোগ ভ্যাট দিয়ে লক্ষ্মীর পেঁচা হয়ে পাশে থাকতেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ভোগ ভ্যাটে ত্রুটি হলে চার ছেলে মেয়ের মা, পেঁচার লক্ষ্মী বাপের বাড়ি যাওয়ার হুমকি দেয় । এদের মধ্যে ভাব ভালোবাসা কখন হয় কে জানে? রাত বাড়লে লক্ষ্মী বাহনে উপবেশন করে বোধহয়!
শুভজ্যোতি মন্ডল মানিক (শিক্ষক), মোড়েলগঞ্জ- বাগেরহাট।