নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাউফল থানাধীন উত্তর মোমিনপুর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী ,শ্বশুর ও শালাকে পিটিয়ে জখম করেছে স্বামী।ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানাধীন উত্তর মোমিনপুর গ্রামে।এতে আহতরা হলেন ফারজানা আক্তার (১৯) শহিদুল ইসলাম (৪০) ও রবিউল ইসলাম (১৪)।
পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ছয় বছর আগে মোমিনপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ফারজানের সাথে পারিবারিকভাবে শহিদুলের ভাগিনা রাসেল মেলকারের সাথে বিবাহ হয়।
বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় রাসেল তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার কে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় এবং শশুর শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন মালামাল সহ প্রায় নগদ দেড় লক্ষ টাকা যৌতুক দেয় জামাই রাসেল কে। বর্তমানে রাসেল ও ফারজানার দাম্পত্য জীবনে একটি দুই বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকে রাসেল তার স্ত্রী ও শ্বশুরের কাছে মেয়ের নামে একটি গরু দাবি করে। এবং এ নিয়েও একাধিকবার স্ত্রী ও শ্বশুরকে মারধরের হুমকি দেয় রাসেল।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে রাসেল পরিকল্পিতভাবে শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ করে শ্বশুরের গরুর ঘর থেকে একটি গরু জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়া।
এ সময় শ্বশুর শহিদুল ইসলাম খবর পেয়ে তাতে বাধা দিতে গেলে জামাই রাসেল তার মা বকুল বেগম ও রাসেলের মামা ফারুক হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে শহিদুল ইসলামের উপর হামলা চালায়।
এ সময়ে শহিদুলের মেয়ে ফারজানা ও ছেলে রবিউল ইসলাম তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বাউফল থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সেখানে গুরুতর আহত ফারজানা আক্তারের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্ররেণ করে।
বর্তমানে আহত ফারজানা আক্তার শেবাচিমের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।