১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যুবক নিহত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ডিশ লাইনের তার গলায় বেধে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে এক যুবক নিহত ও অপর তিন যাত্রী আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৭ জুন) রাত ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু রেল লাইনের মির্জাপুর রেলস্টেশনের পূর্ব গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এদের মধ্যে আহতযাত্রী রিমন হোসেনকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাত ও পা ভেঙে গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
নিহত যাত্রী সজিব হোসেন (২০) নওগাঁ জেলার রাইজুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। আহত রিমন হোসেন (২৬) একই জেলার বদলগাছী উপজেলার এনামুল হকের ছেলে। আহত অপর দুই যাত্রীকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

মির্জাপুর রেল স্টেশনের পূর্ব গেটের গেটম্যান শান্ত ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ১২টা ৫ মিনিটে মির্জাপুর স্টেশন অতিক্রম করে। এর আধঘণ্টা পর আহত এক যুবক তার গেটের রুমে এসে জানায় সে ওই ট্রেনের যাত্রী ছিল। ছাদ থেকে পড়ে আহত হয়েছে এবং আরেকজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। পরে তিনি সঙ্গে সঙ্গে মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেন। তারা এসে আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি আহত রিমন হোসেন বলেন, আমি গাজীপুর স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক কোম্পানিতে কাজ করি। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার জন্য রাত সাড়ে ১০টায় জয়দেব স্টেশন থেকে নওগাঁ যাওয়ার উদ্দেশে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে রওনা দেই। ট্রেন মির্জাপুর স্টেশনে পৌঁছালে আমার পাশে বসা এক যাত্রীর গলায় ডিশ লাইনের তার আটকে যায়। এসময় তিনি ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার সময় বাঁচার জন্য আমার পা ধরলে আমিও পড়ে যাই। ওই সময়ে আরও দুই যাত্রীর গলায় তার বেধে গেলে তারা আহত হলেও ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যায়নি।

গেটম্যান শান্ত ইসলাম জানান, গতকাল সোমবারও তিনি ডিশ লাইন ব্যবসায়ীকে বলেছিলেন তারগুলো উঁচু করে টেনে দিতে। কিন্তু তিনি তার কথা শুনেননি। রাতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

টাঙ্গাইল রেল পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল আব্দুল মালেক জানান, খবর পেয়ে ভোর ৫টার দিকে মির্জাপুর এসে নিহত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রেললাইন সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা আইয়ূব খান জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে গেটম্যান শান্ত ইসলাম তাকে জানালে তিনি এসে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সহায়তায় আহত যুবককে কুমুদিনী হাসপাতালে পাঠান এবং পরে নিহত যুবকের মরদেহ রেললাইন থেকে খুঁজে বের করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াজ উদ্দিন সিকদার ও আইয়ুব খানসহ অন্যরা ডিশ লাইন ব্যবসায়ীর অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনার জন্য তার শাস্তি দাবি করেন।

মির্জাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রেল পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

বাংলাদেশ রেল পুলিশ টাঙ্গাইল ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর জানান আহত ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

সর্বশেষ