বাণী ডেস্ক: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনার চার নারী চিকিৎসককে আটক করেছে সিআইডি। এর আগে গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) চার নারী চিকিৎসককে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তাঁদের পরিবার।
সোমবার (২১ আগস্ট) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আটক চিকিৎসকদের প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন সময় হেফাজতে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এরপর গত শনিবার (১৯ আগস্ট) চার নারী ও একজন পুরুষ চিকিৎসককে আটক দেখানো হয়েছে।’
আটক হওয়া চার নারী চিকিৎসক হলেন, ডা. লুইস, ডা. নাদিয়া মেহজাবিন তৃষা, ডা. মুত্তাহিন হাসান লামিয়া ও ডা. শর্মিষ্ঠা। তাঁদের মধ্যে চিকিৎসক শর্মিষ্ঠা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। অন্যরা বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখেন। একইদিনে আটক হন খুলনার থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের পরিচালক ডা. ইউনুস খান তারিম। এ নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসক আটক হলেন।
এর আগে খুলনায় চার নারী চিকিৎসককে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তাঁদের পরিবার। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী চিকিৎসকদের স্বজনেরা।
এ বিষয়ে রোববার (২০ আগস্ট) বিএমএ খুলনা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, ‘গত শুক্রবার থেকে আমাদের চার চিকিৎসকের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো অভিযোগ ছাড়াই সিআইডি তাঁদের তুলে নিয়ে গেছে। তাঁদের মধ্যে একজনের ছোট বাচ্চাও রয়েছে। ভুক্তভোগী চিকিৎসকদের পরিবার আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। তুলে নিয়ে যাওয়ার ৪৮ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও তাঁদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বাহারুল আলম বলেন, ‘এটাতো কোনো পুলিশি রাষ্ট্র না যে কাউকে কোনো অভিযোগ ছাড়া তুলে নিয়ে যাবে। আমরা অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো তথ্য জানানো হয়নি। একটা স্বাধীন রাষ্ট্রে এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক।’
জানতে চাইলে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ‘চিকিৎসক নিখোঁজ বা আটকের বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনো তথ্য নেই। পরিবার থেকেও পুলিশকে নিখোঁজের বিষয়টি জানায়নি।’
নিখোঁজ ডা. মুত্তাহিন হাসান লামিয়ার মা ফেরদৌসী আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নিখোঁজের পর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমাদের জানানো হয়েছে, তাঁদের সিআইডি আটক করেছে।’
ডা. নাদিয়া মেহজাবিন তৃষার ভাই পরিচয়ে একজন বলেন, ‘খুলনা সদর থানার ওসি জানিয়েছেন, সিআইডি তাঁদের নিয়ে গেছে।’