নিজস্ব প্রতিবেদন।
হিজলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহান শাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চেক চুরির অভিযোগে বরিশাল বিজ্ঞ আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি পিবিআই বরিশাল তদন্ত করছেন। সামু চৌধুরী উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। চেক চুরির মামলার বাদী শাহ আলম রিয়াদ জানান, ‘কয়েক বছর পূর্বে আধুনিক চিকিৎসার লক্ষ্যে নিজ এলাকা হিজলায় ভিশন কেয়ার হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার’ নামে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান করি। মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের কিছু শেয়ারের মালিক হন ঐ এলাকার শাহান শাহ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হোসেন এবং রফিক সরদার। এই তিন জন শেয়ার এর অংশ হিসাবে ধার্য্যকৃত টাকা পরিশোধ না করে কৌশলে গোটা প্রতিষ্ঠানটি আত্মসাত করার চেষ্টা চালায়। এই ঘটনা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অবগত আছেন’। ভিষন কেয়ার হাসপাতালের মালিক শাহ আলম রিয়াদ ইউনেস্কের সদস্য হওয়ায় প্রায়ই দেশের বাহিরে অবস্থান করেন। একারনে তিনি প্রয়োজনীয় খরচ চালানোর জন্য হাসপাতালের ব্যাংক একাউন্টের চেক বই অগ্রিম স্বাক্ষর করে হাসপাতালে রেখে যেতেন। বছর খানেক পূর্বে স্বাক্ষরিত একটি চেকের পাতা না পাওয়ায় হিজলা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন শাহ আলম রিয়াদ যার নং ১০২০। বর্তমানে ঐ চেকের পাতায় “এক কোটি পয়ত্রিশ লক্ষ” টাকা লিখে তা দাবী করেন শাহান শাহ চৌধুরী ওরফে সামু চৌধুরী। এ বিষয়ে স্থানীয় ফয়সালা সম্ভব না হওয়ায় আদালতে সামু চৌধুরীর বিরুদ্ধে চেকের পাতা চুরির মামলা দায়ের করেছেন শাহ আলম রিয়াদ। সূত্রে জানা যায় সামু চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হোসেন ও রফিক সরদার এই তিন জন মিলে এলাকায় একটি প্রতারক চক্র গঠন করেছে। তারা বিভিন্ন অনিয়ম ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ফাদে ফেলে অনেককে সর্বশান্ত করেছে। সিনেমা স্টাইলে রাতের আধারে “ইভডো সোসাইটি অব বাংলাদেশ” নামক একটি এনজিও’র সাইন বোর্ড পাল্টিয়ে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে এই চক্রের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। পান্নি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে পজেশন বিক্রি সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত এরা। স্থানীয় অনেকে জানান ইউনেস্কর সদস্য শাহ আলম রিয়াদ প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করছিল। চিহ্নিত প্রতারকদের কারনে এলাকাবাসী সু-চিকিৎসা হতে বঞ্চিত হবে পাশাপাশি প্রতারিত হওয়ার ভয়ে এই এলাকায় অন্য কেউ কোন প্রতিষ্ঠান করবে না। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রতারকদের দৌরাত্ব বন্ধের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ‘কোন অবস্থাই বেআইনী ভাবে কেউ কিছু করতে পারবে না’। এ ব্যাপারে শাহান শাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমি ব্যবস্থ আছি পরে এ ব্যাপারে কথা হবে’। এ ব্যাপারে শাহ আলম রিয়াদ বলেন আমি মানব সেবার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি করেছি। অযুক্তিক ভাবে কারো কোন দাবী পুরন সম্ভব নয়। ন্যায় বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আমি আশা বাদী সত্যের জয় হবে।
