২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে কঠোর হতে হাইকোর্টের নির্দেশ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাণী ডেস্ক: অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধের নীতিমালাগুলোকে আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জনসচেতনতা তৈরিতে নীতিমালাগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
পরে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, স্বাভাবিক প্রসবের ব্যাপক প্রচারণা এবং অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধ করার লক্ষ্যে গাইডলাইনগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত নীতিমালাকে আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাই এই নীতিমালা মানতে এখন সবাই বাধ্য। নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এটি হাইকোর্টের আরও একটি রায়।
এর আগে, গত ১১ই অক্টোবর প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম বন্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। ২০১৯ সালের ৩০শে জুন প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম রোধে নীতিমালা তৈরি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ওই সময় ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেছিলেন,
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন এর মতে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে শতকরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি সিজার পদ্ধতি কোনো দেশেরই প্রয়োজনীয় হতে পারে না। বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে এটি প্রায় ৩১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৩ শতাংশ এবং সরকারি হাসপাতালে এটার হার ৩৫ শতাংশ। এছাড়া এনজিও হাসপাতালগুলোতে ৩৯ শতাংশ। এটি আসলে এলার্মিং রাইজ, এ রেটটার বৃদ্ধি থামানোর জন্যই এ মামলা।
তিনি বলেন, চীনে সিজারের হার বিশ্বের মধ্যে খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নতুন নীতিমালা প্রণয়ণের কারণে এটা কমেছে। ব্রাজিলেও একই জিনিস দেখতে পেলাম।
তিনি আরও বলেন, গ্রামে-গঞ্জে যে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো আছে সেগুলো কোনো ধরনের সরকারি মনিটরিং ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সিজারিয়ান সেকশন করে যাচ্ছে। এটা থেকে অনেকের অমানবিক মৃত্যুও ঘটেছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনযুক্ত করে রিটটি করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের পক্ষে তাদের আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম।

সর্বশেষ