২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

দেশে প্রথম টেস্টটিউব শিশুর জন্ম: সন্তুষ্ট বরিশালের দম্পতি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাণী ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রথম টেস্টটিউব নবজাতকের জন্ম হয়েছে। আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সি-ব্লকে মা ও প্রসূতি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফার্টিলিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জেসমিন বানুর তত্ত্বাবধানে সফল সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে এই প্রথম টেস্টটিউব বেবির জন্ম দেন।
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,
বরিশালের একটি নিঃসন্তান দম্পতি দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভুগছিলেন। আট বছর আগে দম্পতির সমস্যাটির ডায়াগোনোসিস হয়। এ দম্পতি বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ্যাত্ব সমস্যা নিরসনে চিকিৎসা নিলেও কোনো সফলতা বা তারা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের (আইভিএফ) সু-পরামর্শও পাননি। এরপর ২০২২ সালে এই দম্পতি বিএসএমএমইউয়ের ইনফার্টিলিটি বিভাগে চিকিৎসা শুরু করেন। পরিপূর্ণ ইভাউলিউশন শেষে এই বিভাগ তাকে আইভিএফ উইথ আইসিএসআইয়ের (ইন্ট্রা সাইটোপ্লাজমিক স্পার্ম ইনজেকশন) পরামর্শ দেয়। পরে স্টেম সেল থেরাপির গ্রহণের মাধ্যমে তারা এ চিকিৎসা শুরু করেন। যথাযথ চিকিৎসা শেষে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই নবজাতকের মা গর্ভধারণ করেন এবং নিয়মিত চেকআপে থাকেন।। এরপর দীর্ঘ ৩৮ সপ্তাহ পর আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় এ টেস্টটিউব নবজাতকের জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন।
এ বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএসএমএমইউয়ে এ টেস্টটিউব নবজাতকের জন্মগ্রহণের মাধ্যমে আরেকটি সফলতার পালক যুক্ত হলো। নিঃসন্তান দম্পতিদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটানোর জন্য সবসময় কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফার্টিলিটি বিভাগ। টেস্টটিউব নবজাতকের জন্মগ্রহণে নিঃসন্তান দম্পতিদের সহযোগিতার জন্য সামনের দিনগুলোতে আজকের দিনটি অনুপ্রেরণা যোগাবে।
বিএসএমএমইউয়ে প্রথম টেস্টটিউব নবজাতকের সিজারিয়ান সেকশনের সময় অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের শিক্ষক নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেব্রবত বনিক, ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, নিউন্যাটোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, রিপ্রোডাক্টিভ অ্যান্ডোক্রাইন অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা দীবা, সহযোগী অধ্যাপক (অনারারি) ডা. শাহীন আরাসহ ১৭ জন চিকিৎসক ও পাঁচজন নার্স অংশগ্রহণ করেন।

সর্বশেষ