২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশের বীমা খাতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২৯ মে সারাদিন লালমোহন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট দিন আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম সৌদিতে ২৮৭৬০ বাংলাদেশি হজযাত্রী পৌঁছেছেন, দুইজনের মৃত্যু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন সোমবার থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ বোরহানউদ্দিনে ভোটারদের টাকা দেওয়ার ছবি ভাইরাল, ক্ষমা চাইলেন ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাচন ঘিরে ভোলার উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড মোতায়েন

নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে বাকেরগঞ্জ আসছেন ব্যারিস্টার ছিদ্দিকুর রহমান

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণী: হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের সিনিয়র অ্যাডভোকেট, খ্যাতনামা আইনজীবী, রীট ও সাংবিধানিক মামলার বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার এ.বি.এম ছিদ্দিকুর রহমান খান বাকেরগঞ্জে আসছেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর সারাদিন তিনি বাকেরগঞ্জের উন্নয়নের স্বার্থে বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্পিং করবেন। সৎ যোগ্য সুদক্ষ এবং ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত প্রার্থীর পক্ষে তিনি গণসংযোগ, সভা ও প্রচারণা চালাবেন। তাছাড়া চরামদ্দি কালিদাশিয়া গ্রামে তার পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবর জিয়ারত করবেন।
উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার ছিদ্দিকুর রহমান বড় বড় রিট মামলা পরিচালনা, সাংবিধানিক জটিলতা সংক্রান্ত মামলা পরিচালনা, আইন বিষয়ক জার্নালে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আর্টিকেল উপস্থাপন, বহুসংখ্যাক ইসলামী প্রবন্ধ রচনা সহ নানান মাধ্যমে দেশ, মানবতা ও ইসলামের সেবায় যথেষ্ট অবদান রেখে চলেছেন। পেশাগত জীবনে সততার সাথে কাজ করে তিনি এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের কালিদাসিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোঃ ওয়াজেদ আলী খান এবং মাতার নাম তজুমুন্নেসা। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে পঞ্চম সংশোধনী মামলায় বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী হিসেবে তিনি তাঁর মেধার সাক্ষর রাখেন। সেই মামলায় বাংলাদেশের সামরিক শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এবং সে সময়ের সকল আইনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়াও তিনি আইন ও ধর্ম বিষয়ক প্রবন্ধ লেখায় অভ্যস্থ। তাঁর বহু প্রবন্ধ আইন বিষয়ক রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। Doctrin of Condonation: An Emerging Principle in the Constitutional Jurisprudence in Bangladesh.শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার পর আইনজীবী মহলে ব্যাপক সাড়া পড়ে। ব্যারিস্টার এ বি এম ছিদ্দিকুর রহমান খান ২০০৭ সালে Assistant Attorney General, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এবং বহুবার Deputy Attorney General হিসেবে যোগদান করার প্রস্তাব পেয়েও ব্যাক্তিগত কারণে এসব পদ গ্রহে করেননি। ব্যারিস্টার এ.বি.এম ছিদ্দিকুর রহমান খান চরামদ্দি দাখিল মাদরাসা হতে ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিভাগে দাখিল, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত আলিয়া মাদরাসা হতে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিভাগে আলিম, ১৯৮৮ খিধস্টাব্দে প্রথম বিভাগে ফাযিল এবং ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে প্রথম শ্রেণিতে কামিল হাদীস পাস করেন। ছারছীনা মাদরাসায় অধ্যায়নকালে তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের দেয়ালিকা সম্পাদনা, সাহিত্য মজলিস পরিচালনা এবং লেখালেখির মাধ্যমে প্রতিভার সাক্ষর রাখেন। ছারছীনা দরবারের মুখপত্র ‘পাক্ষিক তাবলীগ’ পত্রিকার সম্পাদকীয় লিখতেন তিনি। মাদরাসা শিক্ষা সমাপ্ত করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে এলএলবি অনার্স এবং ১৯৯৫খ্রিস্টাব্দে এলএলএম পাস করেন। উভয় পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি জজকোর্টের এ্যাডভোকেটশীপ সনদ এবং ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে হাইকোর্ট বিভাগের এ্যাডভোকেটশীপ সনদ লাভ করেন। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য লন্ডন গমন করেন। সেখানে পুনরায় এলএলবি সম্পন্ন করে ২০০১ খ্রিস্টাব্দে ব্যারিস্টারি কোর্সে ভর্তি হয়ে ২০০২ খ্রিস্টাব্দে Lincoln’s Inn থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিন বছর লন্ডনে অবস্থান করে দেশ-বিদেশের রাজনীতির উপর পড়ালেখা করেন। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করে প্রথিতযশা আইনজীবী আজমালুল হোসাইন কিউসি এর জুনিয়র হিসেবে যোগদান করে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন মামলায় কিউসি সাহেবকে গবেষণাসহ দিকনির্দেশনামূলক সহযোগিতা প্রদান করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে আইন ব্যবসা করছেন।

সর্বশেষ