দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ঃ পটুয়াখালী মেডিমেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নবজাতক শিশুকে রেখে পালালো মা ও পরিবারের সদ্যসরা।
দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মোজাম্মেল হকের মেয়ে সানজিদা আক্তার পপি ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, একই উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সাতানী গ্রামের আব্দুর রব হাওলাদারের ছেলে আল আমিন হাওলাদারের সাথে সানজিদা আক্তার পপির সাথে ১১ মাস আগে বিয়ে হয়।
৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এই নারী তার স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় পারিবারিক কলহের যের ধরে তার স্বামীর অজান্তে বাচ্চাটিকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ইনজেকশন দেয়, পরবর্তীতে অন্তঃসত্ত্বা নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়ায় গত ১৫.৪.২৪ তারিখে পটুয়াখালী সদর হসপিটাল রেফার করে ভর্তি করা হয়।
ভর্তির পরের দিন মঙ্গলবার একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
সন্তান জন্ম দেওয়ার পর নবজাতক শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ না থাকায় আইসিইউতে ভর্তি করে,শিশুটির মা ও নানা,নানী,খালা সহ হসপিটাল থেকে লাপাত্তা হয়ে যায়।
শিশুটির ফুপু জানান,আমি এই খবর শুনে হসপিটালে আসলে কাউকে খুজে না পেয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় জানাই।তিনি আরো বলেন আমার ভাইকে ফাঁসাতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
নবজাতকের বাবা আল আমিন হাওলাদার বলেন,আমি চাকরির কারণে দূরে থাকি, আমার শশুর বাড়ির সাথে বনিবনা না থাকায় আমাকে ফাঁসাতে আমার শ্বশুর,শাশুড়ি, বউ এমনটি করছে। আমার বাচ্চাকে মেরে ফেলে আমাকে মাডার মামলায় ফাঁসাতে চেয়েছিলো।
এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাসিম বলেন, এ বিষয়ে এখনো আমরা কোন তথ্য পাইনি।#