৫ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঋণের চাপে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দোকানির আ*ত্ম*হ*ত্যা জনপ্রতিনিধিরা খবর নেয়নাঃ রাস্তা মেরামত করলো এলাকাবাসী ব্যয় কমাতে সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমণ ও যানবাহন কেনা বন্ধ মহররম মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত--- হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী বর্তমান সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না: মাহমুদুর রহমান মান্না বরিশালে ২ কেজি গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক চাচাতো বোনকে ধ*র্ষ*ণের পর হ*ত্যার অভিযোগে বাকেরগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা আমতলীতে দেনার ভয়ে ফেইসবুকে স্টাটাস দিয়ে গলায় ফা*স লাগিয়ে আত্মহ*ত্যা দখলমুক্ত হলো তাপবিদুৎ কেন্দ্র'র জমি ববিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলা, সংবাদকর্মীসহ আহত ৩

ঝালকাঠিতে পল্লী বিদ্যুতের ভৌতিক বিলে দিশেহারা গ্রাহকরা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ঝালকাঠি প্রতিনিধি ::: ব্যাবসায়ী শফিকুল ইসলাম মে মাসের বিদ্যুৎ বিলের কপি হাতে পেয়েছেন জুন মাসের ২০ তারিখ। কাগজে বিলের পরিমাণ দেখে অবাক তিনি। কেননা গত কয়েক মাসের তুলনায় এ মাসে বিলের পরিমাণ শতভাগ বাড়ানো হয়েছে। অথচ গত দুই মাসের চেয়ে এ মাসে বিদ্যুতের ব্যাবহার কম করেছেন বলে জানান তিনি। শুধু শফিকুল ইসলামই নন, কৌশলগত এ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ঝালকাঠি জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১ লাখ ৪৬ হাজার গ্রাহক।

ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বেশ কয়েকজন গ্রাহক জানান, জুন মাস শুরুর পর থেকে জেলার সর্বত্র প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোড শেডিং দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ। গত দুই মাসের চেয়ে বিদ্যুতের ব্যবহার এ মাসে অনেক কম হয়েছে অথচ বিল দিয়েছে গত দুই মাসের দ্বিগুণ।

রাজাপুর সদর এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক আল আমিন হাওলাদার জানান, এপ্রিল-মে মাসের প্রচণ্ড গরমেও পল্লী বিদ্যুৎ জেলা জুড়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সেই সময় বাড়ির বিদ্যুৎ বিল দিয়েছি ৫৭০ টাকা কিন্তু জুন মাসে এত লোড শেডিংয়ের পরেও বিল করেছে ১২৫০ টাকা যা গত মাসের দ্বিগুণেরও বেশি।

একই এলাকার গ্রাহক ব্যবসায়ী জিয়াউল হক জানান, এপ্রিল-মে মাসে আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ বিল হয়েছিল ৫৫০০ টাকা। কিন্তু সেখানে জুন মাসে আমার বাড়ির বিল করা হয়েছে প্রায় ১২০০০ টাকা। এভাবে জালাল আহম্মেদ, রিমা বেগম, হেমায়েত উদ্দিন,সোহাগ মাতুব্বর,বেলায়েত হোসেনসহ আরও অনেক গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত ভৌতিক বিলের কপি হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এমতাবস্থায় কোন কোন গ্রাহক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলেও অনেক গ্রাহকই পল্লী বিদ্যুতের এ ভৌতিক বিল পরিশোধ থেকে বিরত থেকেছেন।

গ্রাহকরা জানায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মাঠ পর্যায়ে মিটার রিডিং সংগ্রহকারীরা গ্রাহকদের মিটার না দেখে অনুমান করে মিটারের রিডিং লিখে নিয়ে যায়। এবং তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা হাতাবার জন্যই নির্দিষ্ট বিলের দুই থেকে তিন ধাপ পরিবর্তন আনে। এছাড়াও এ মাসে ইচ্ছে করেই ১৫ দিন পরে বিদ্যুতের রিডিং নিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ ফলে ১৫ দিনের বাড়তি বিলে টেরিফের দুই ধাপ অতিক্রম করায় বিল দ্বিগুণ এসেছে। এভাবেই ভৌতিক বিলের বোঝা চাপিয়ে জেলার দেড় লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। গ্রাহকরা আরও জানায়, এ ভৌতিক বিলের বিষয়ে আমরা দু এক দিনের মধ্যেই আন্দোলনে নামব।

সত্য নগর এলাকার উজ্বল মৃধা জানান, প্রতি মাসে আমার বাড়ির চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিল আসে ১৫০০টাকার মধ্যে কিন্তু এ মাসে আমার বাড়ির বিল করা হয়েছে ৬০৬৭ টাকা । বিল দেখে আমি হতাশ হয়ে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মধু সুদন বাবুর কাছে গিয়ে এ ভৌতিক বিলের বিষয়ে জানতে চাইলাম। কিন্তু তিনি আমাকে এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর না দিলেও আমার বিল ৬ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১৮২৩ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আমি অফিসে গিয়ে এর প্রতিবাদ করেছি বিধায় আমার বিল কমানো হয়েছে। সবার পক্ষে তো আর অফিসে গিয়ে প্রতিবাদ করা সম্ভব না। বাড়তি বিল নেয়া হচ্ছে ওদের ব্যাবসায়িক পলিসি।

ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে আমাদের মিটার রিডাররা সঠিক সময়ে রিডিং আনতে পারেনি তাছাড়া ঈদের সময় বিদ্যুতের বেশি চাহিদা থাকায় এ মাসে বিল একটু বেশি এসেছে। তাছাড়াও কেউ ভুলের উর্ধ্বে না, আমাদের কারণে যদি কোনো গ্রাহকের বিল বেশি এসে থাকে তাহলে আমরা তা সংশোধন করে দিব।’

সর্বশেষ