৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কাজিপুরে বিদ্যু*তায়িত হয়ে লাইনম্যানের মৃ/ত্যু পটুয়াখালীতে শিক্ষার্থীকে বলা*ৎকারের অভিযোগ মাদরাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে বরিশালে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দিল এবি ব্যাংক কলাপাড়ায় মাছ ধরার জালে রাসেলস ভাইপার গলাচিপায় ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের মাঝে ফ্যামিলি কিট বক্স বিতরণ শেষ জীবনে শখ পূরনে ১০০ হাত লম্বা নৌকা তৈরি ! ভান্ডারিয়ায় ২ যুগ ধরে কোটি টাকার সরকারি জমি দখলে রেখে চলছে ‘দোকান বাণিজ্য’ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো প্লাস্টিনেশন ল্যাব. ও এনাটমি মিউজিয়াম ঝালকাঠিতে অধিকাংশ হস্তচালিত নলকূপে উঠছে না পানি খা‌লেদা জিয়ার মুক্তি অবশ্যই হবে এবং দেশের গণতন্ত্রও মুক্তি পাবে : স‌রোয়ার

মঠবাড়িয়ায় সনদ বাতিল হলেও থামেনি দলিল লেখা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পিরোজপুর প্রতিনিধি ::: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জালিয়াতির মাধ্যমে এক ব্যক্তির জমি অন্য জনের নামে দলিল করে দেওয়ার অভিযোগে প্রদীপ রঞ্জন মিত্র নামে এক দলিল লেখকের সনদ (নং ২২৩১) বাতিল হয়েছে। তবে সনদ বাতিল হওয়ার পরেও তিনি বহাল তবিয়তে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়রানির শিকার হওয়া সেই পরিবার ও কিছু দলিল লেখক। তাদের প্রশ্ন কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে প্রদীপ রঞ্জন মিত্র এখনও কাজ করছেন?

ভুক্তভোগী উপজেলার বড়শৌলা গ্রামের বাসিন্দা মো. শিবলী মোল্লা শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৩ সালে আমি এবং এমাদুল হক খোকন, একই এলাকার শশীকান্ত ও শ্রীকান্তের কাছ থেকে ১৩৪ শতক জমি কিনি। ২০০৫ সালে চন্দ্রকান্তের ওয়ারিশ থেকে সঞ্জিব মাঝি ২৬ শতাংশ জমি কেনেন। ওই খতিয়ানে আর কোনো সম্পত্তি নাই। পরে দলিল লেখক প্রদীপ রঞ্জন মিত্র জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন দাগ বসিয়ে চন্দ্রকান্তের নামে ১৪২ শতক সম্পত্তির খতিয়ান তৈরি করেন এবং তার ওয়ারিশ সুনীল চন্দ্র কির্তুনীয়াকে দাতা বানিয়ে বড়শৌলা গ্রামের হারুন হাওলাদারের ছেলে জাহাঙ্গীরের নামে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি ৬২৩ নং সাব-কবলা দলিল মূলে ১৪২ শতক সম্পত্তি কিনে দেন। প্রদীপ রঞ্জন মিত্র আমাদের উচ্ছেদ করার জন্য স্ব-প্রণোদিত হয়ে জাহাঙ্গীরকে দিয়ে আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।’

মো. শিবলী মোল্লা বলেন, ‘ওই মামলার নোটিস আসলে চ্যালেঞ্জ করি এবং মহাপরিদর্শক, নিবন্ধন অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ দায়ের করি। নিবন্ধন অধিদপ্তর তদন্তের জন্য জেলা রেজিস্ট্রার, ঝালকাঠিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা ও পিরোজপুর জেলা রেজিস্ট্রার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধন অধিদপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে খতিয়ান, খাজনা, দাখিলা জাল ও বিকৃত করে তর্কিত ৬২৩/২৩ নং দলিল সম্পাদন করা হয়েছে মর্মে প্রমাণ পাওয়ায় এবং দলিল লেখকের সংশ্লিষ্টতা থাকায় প্রদীপ রঞ্জন মিত্রের সনদ বাতিল করা হয়।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রদীপ রঞ্জন মিত্র বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা অন্যায়ভাবে আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছেন। অফিসে দলিল চেক করার পর দলিল লেখকের কোনো দায় থাকে না। সমস্ত দায় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের। বর্তমানে আমি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পাশে দলিল লেখকের কাজ করছি।’

মঠবাড়িয়ার বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার পারভেজ খান বলেন, ‘বিধি অনুযায়ী দলিল লেখকের ওপর দায় আছে, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস কোনো দায়ের মধ্যে পরে না।’

দলিল সম্পাদনকারী (সাবেক) সাব-রেজিস্ট্রার জাহিদ হাসান বলেন, ‘দলিল সম্পাদনে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।’

সর্বশেষ