১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

আমতলীতে ট্রলারে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ায় জেলা পরিষদের কঠোর অভিযান

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
করোনার অযুহাতে যাত্রীদের জিম্মি করে প্রতিদিন বরগুনার আমতলী- পুরাঘাট খেয়া পাড়াপাড়ে ট্রলার মাঝিরা তাদের কাছ থেকে অস্বাভাবিকহারে ভাড়া আদায় করে। জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধা এই সংবাদ পেয়ে সরাসরি ঘাটে উপস্থিত হয়ে বেশী ভাড়া আদায়ের সত্যতা পেয়ে ডাইরেক্ট এ্যাকশন শুরু করেন।

শনিবার বিকেলে জেলা পরিষদ সদস্য আবুল বাশার নয়ন মৃধা আমতলী ফেরীঘটে সরাসরি উপস্থিত হয়ে বরগুনা জেলা শহর থেকে খেয়া পার হয়ে আমতলী আসা যাত্রীদের কাছে জানতে চান মাঝিরা জনপ্রতি কত টাকা খেয়া ভাড়া নিচ্ছেন। এসময় যাত্রীরা জানান, তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি নির্ধারিত ১৫ টাকার স্থলে ৪০ টাকা নিছে। মাঝে মাঝে জনপ্রতি ৭০/৮০ টাকাও আদায় করে। এ সময় তিনি খেয়ার মাঝিকে জনপ্রতি ২০ টাকা রেখে বাকী টাকা ফেরৎ যাত্রীদের দিতে বলেন।মাঝি তার কথামত অতিরিক্ত নেয়া টাকা যাত্রীদের ফেরৎ দিয়ে দেন। এ সময় জেলা পরিষদের সদস্যকে উপস্থিত যাত্রীরা ধন্যবাদ জানান এবং তার এই ডাইরেক্ট এ্যাকশনে খুশি হয়েছেন এ ঘাট দিয়ে পারাপাররত যাত্রীরা।

যাত্রী সোহেল মিয়া বলেন, করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে এ খেয়াঘাটের মাঝিরা জনপ্রতি ১৫টাকার ভাড়ার স্থলে ৪০ আদায় করছে। মাঝেমাঝে যাত্রী কম থাকলে জনপ্রতি ৭০/৮০ টাকাও আদায় করে।

অপর যাত্রী ইদ্রিস মিয়া বলেন, জেলা পরিষদের সদস্যের ডাইরেক্ট এ্যাকশনে আমারা সাধারণ জনগন খুশি।

জেলা পরিষদ সদস্য আবুল বাশার নয়ন মৃধা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই শুনতে পাচ্ছি এ খেয়াঘাটে অস্বাভাবিক হারে খেয়া পাড়াপাড়রত যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছে। আজ সরাসরি তার সত্যতা পেয়েছি। যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া অতিরিক্ত টাকা মাঝিকে ফেরৎ দিতে বাধ্য করেছি। এরপরেও যদি যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খেয়া ভাড়া আদায় করে তাহলে জেলা পরিষদের সভা ডেকে ইজারা বাতিল করার ব্যবস্থা করবো।
উল্লেখ্য এ খেয়াঘাটটি জেলা পরিষদ মালিকানাধীন।

সর্বশেষ