১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কবি সাহিত্যিকদের মিলনমেলায় জীবন পেলো “জীবন এক জলকণা”

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বিশ্লেষকঃ লুৎফ-এ-আলম।।
২০২০ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারী শনিবার । ঘড়ির কাটায় কাটায় ৩টা। প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ সচিব) মো. শহিদুল ইসলাম এসে উপস্থিত৤ শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাদ প্রেসক্লাবের তিন তলার মিলনায়তন সাহিত্যানুরাগীদের উপস্থিতিতে ভরা। উদ্দেশ্য: “জীবন এক জলকনা” কাব্য গ্রন্হের মোড়ক উন্মোচন। সকলের মুখে অনাবিল আনন্দের ফোয়ারা। এলেন অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রবীণ শিক্ষাবিদ বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হানিফ।
রঙিন বেলুন, রঙিন ফুল আর রঙিন ব্যানারে সজ্জিত বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তন। রঙিন আলোয় আলোকিত, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, আনন্দ কোলাহলে ভরপুর। বরিশাল সাহিত্য গগনের তরুণ কবি মোহাম্মদ এমরানের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “জীবন এক জলকণা‘র” ছিল মোড়ক উন্মোচন তথা প্রকাশনা উৎসব। যাকে কেন্দ্র করে বরিশাল নগরের কবি, লেখক, শিল্পী ও গুনী, সুধী সমাবেশ । তাদের স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতিতে মিলনায়তন এক মিলন মেলায় ভরে উঠলো।
কিছুক্ষণের জন্য মিলনায়তন নিরব নিস্তব্দ। শুরু হলো প্রবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ। তারপর জাতীয় সঙ্গীত। সঙ্গীতের পরপরই মোড়ক উন্মোচনের পালা। আমরা মঞ্চে যারা উপস্থিত সকলকে একখানা করে কাব্যগ্রন্থ ও ফুলেল শুভেচ্ছা- ফটো সাংবাদিকদের ব্যস্ততা- হল ভর্তি নিমন্ত্রিত অতিথিদের রজনী গন্ধার স্টিক দিয়ে বরণ করা-সঞ্চালক মুক্তিবালা ও মাহফুজ পারভেজের আহবানের মধ্য দিয়ে উন্মুক্ত হলো মোড়ক উন্মোচনের সেই কাঙ্খিত শুভ লগন।
উপ সচিব শহিদুল ইসলাম ও প্রফেসর মোহাম্মদ হানিফের হাতে উন্মোচিত হলো “জীবন এক জলকনা”। সাথে সাথে আমরাও মোড়ক উন্মোচন করলাম। মুহু মুহু করতালিতে মিলনায়তন ভরে উঠলো আনন্দ উল্লাসে। “জীবন এক জলকনা” নতুন করে জীবন পেলো ভাষার মাসের সূচনা লগ্নে পহেলা ফেব্রুয়ারি।
উন্মুক্ত হলো আলোচনা পর্ব। কবি মোহাম্মাদ এমরান এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে-শুভেচ্ছা, সালাম ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার কবিতা লেখার পটভূমি, নেপথ্যের ঘটনা ও আনুষঙ্গিক বিষয় সংক্ষেপে সাবলিল ভাষায় উপস্থাপন। যার প্রকাশ ভঙ্গিতে ছিল আবেগ। এক পর্যায়ে মঞ্চের উত্তর দিকে দর্শকের সারিতে বসা কবির “মা” রেহান আরা বেগমকে পরিচয় করিয়ে দেয়ায় করতালিতে মিলনায়তন ভরে উঠলো সম্মাণনা ও ভালোবাসায়।
এরপর মঞ্চে উপবিষ্ট আমাদের পালা। প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সংস্কৃতিজন অ্যাড এসএম ইকবাল দরাজ গলায় মঞ্চে উপবিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সংক্ষিপ্ত পরিচয় সংবোধনের মাধ্যমে দেবার পর কবি এমরান, কবির লেখনি কবিতার মধ্যে ধীরে ধীরে প্রবেশ করে কিছু কবিতার প্রশংসা করেন সূক্ষ্ম দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়ে।পরিশেষে একটি কবিতার চরণ আবৃত্তি করেন। বিএম কলেজের ইংরেজী বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান মো মাহবুবুল আলম ইংরেজী সাহিত্যের সাথে বাংলা সাহিত্যের তুলনামূলক আলোচনা করে বাংলা সাহিত্যের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করেন। পরে এ যুগের কবি এমরানকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অমৃতলাল দে কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান হিসেবে আমাকেও কিছু বলতে হয়। কবি এমরান আমার প্রিয় ছাত্রদের মধ্যে ছিল অন্যতম। তার কাব্যের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করে সুধী সমাবেশের এ সুন্দর আয়োজন ও কবির দৃষ্টি ভঙ্গির ঔদার্যে আমি বিশ্মিত। সাথে সাথে এ কথাও বলি- রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, জসীমউদ্দীন থেকে শুরু করে এদেরকে মহাকাল বিলীন করলেও তাদে সৃষ্টি এখনও আছে এবং থাকবে।
রাহাত আনোয়ার হাসপাতালের পরিচালক ডা ইকবালুর রহমান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিষ্ট্রার মো এমদাদুল হক প্রিন্স, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিষ্ট্রার বাহাউদ্দিন গোলাপ ছাড়াও বরিশাল উইমেন্স চেম্বারের সভাপতি ও নারী উদ্যোক্তা বিলকিস আহমেদ লিলি, বিডি বুলেটিন সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী আফরোজাও কবিকে শুভেচ্ছা অভিনন্দন
জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
মোড়ক উন্মোচনের প্রারম্ভে কবি এমরানের স্বাগত বক্তব্যের পরপরই মথুরানাথ পাবলিক মাধ্যমিক বিদ্যলয়েরে সহকারী শিক্ষীকা কাজী শেলিনা কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতা ও তার স্বরচিত একটি কবিতা পরপর আবৃত্তি করে সবাইকে চমকে দেয়। যা ছিল মোড়ক উন্মোচনের অন্যতম আকর্ষণ।
প্রধান অতিথি মো শহিদুল ইসলাম মিলনায়তনে আগত সকল সম্মানিত মেহমান ও কবি এমরানকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। এরকম উৎসবে আসতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করে একপর্যাতয়ে বলেন, কবিতা ভাল না লাগলে জীবনকেও ভাল লাগার কথা নয়।
তার এ মন্তব্যটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল রূপালী বার্তায় প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর মেহাম্মদ হানিফ বলেন-
এরকম প্রকাশনা উতসব বরিশাল শহরে আরো হউক। তিনি কবি এমরানের সুন্দর এ আয়োজনে উতফুল্ল। অনেকেই এখন বই প্রকাশ করেনা। তারই পেক্ষাপটে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন- যে সমাজে সাহিত্য চর্চা নেই সেখানে ভালবাসা নেই। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের এ মন্তব্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল বরিশাল বানী প্রচার করে।
সভাপতির ভাষণের পরপরই ছড়িয়ে পড়ে মিষ্টি মুখের উৎসব। আগত সকল মেহমানদের হাতে পৌছে দেয়া হয় গোধুলী লগ্নের হালকা লাঞ্চের শোভনীয় এক একটি মিষ্টির প্যাকেট। যার মধ্যে দিয়ে “জীবন এক জলকনার” মোড়ক উন্মোচন মিলন মেলার সমাপ্তি ঘটে।
তারপরও কিছু কথা থাকে। অনুষ্ঠান শেষ হয়েও হলো না শেষ। এবার সেই মুখোরচক কথার ফুলঝুরি।। অনুষ্ঠানে আগত সম্মানি মেহমানদের সারিতে কাজী সেলিনার পাশে মানিক মিয়া মহিলা কলেজের অধ্যাপক কবি আসমা চৌধুরী, কবি শামিমা সুলতানা, মানবাধিকার কর্মী রেবেকা সুলতানা, রোকসানা আইভি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক নয়া দিগন্তের ব্যুরো চীফ আযাদ আলাউদ্দীন, বরিশাল বানীর প্রকাশক ও সম্পাদক মামুন-অর-রশিদ, আমাদের লেখালেখির সম্পাদক ও কবি শফিক আমিন, কবি মাসুম বিল্লাহ, কবি সিবলু মোল্লাসহ বেশকিছু সংবাদকর্মী, ফটোসাংবাদিকসহ আরো অনেকে।
অমর একুশে বইমেলা-২০২০ উপলক্ষে ১ ফেব্রুয়ারী যে মোড়ক উন্মোচন বা প্রকাশনা উতসব যে কাব্যকে নিয়ে সেই “জীবন এক জলকণার” ভেতরে ডুব সাতাঁর দিয়ে আসা যাক –
এ বি এম সোহেল রশিদ যিনি অভিনেতা কবি ও কণ্ঠশিল্পী তিনি কাব্যের অগ্রভাগে লিখেছেন -নগর যন্ত্রনার নীল র্ং তাকে কাব্যিক দৃশ্যপট আঁকতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তার মর্ম আমিও দেখতে পাই কয়েকটি কাবিতায়। তবে সব কবিতার ক্ষেত্রে সেই প্রেক্ষাপট নয়। ঠিক তেমনি গ্রন্থের শেষে কবির পরিচিতি দিতে গিয়ে প্রকাশক এম নন্দিনী খান মন্তব্য করেছেন – মোহাম্মদ এমরান প্রকৃতির নির্যাস মন্থন করে শব্দের কথামালার কবিতা নির্মানের কৌশল আত্মস্থ করেছেন। রপ্ত করেছেন অনুভূতির আবিরে রাঙানো চিত্রকল্প নির্মানের দক্ষতা।
৬৬ টি কবিতা নিয়ে কাব্যগ্রন্থ রচিত হলেও ছাড়ার ন্যায় কিছু কবিতা ছড়িয়ে রয়েছে। পড়তে ভালো লাগে। পড়া শেষ কবিতাও শেষ। মনে রাখার মতো নয়। তবে ৭/৮ টি কবিতা ভোরের তাজা প্রফুষ্ঠিত ফুলের ন্যায় ঘ্রান ছড়ায় দৃষ্টি এমন, প্রাকৃতিক শোভায় হৃদয় গ্রাহী আবার পড়ার আগ্রহ জাগায়। শেষ হয়ে হয় না শেষ। তাই গ্রন্থটি সযত্নে কালেকশনে রাখা যায়। কারণ তরুণ কবি হৃদয়ের আবেগ, সংযম এবং কাব্যের ভাষা সুরুচি ও বৈচিত্র বোধের পরিচায়ক।
কবি এমরান প্রকৃতি প্রেমী, শিক্ষা দিক্ষায় বুদ্ধিদীপ্ত ও রাজনৈতিক সচেতন। দেশকে ভালোবাসে, প্রকৃতিকে ভালবাসে, দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবে। তারাই তার এ কাব্যের প্রেরণা। ৬৫0 সালের দিকের, এ ভুখন্ড, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় বাংলার এ ভূবনে বৌদ্ধ ভিক্ষু সহজিয়ার চর্মপদে রচনা করেছিলেন এখানকার বসবাসরত সহজ সরল মানুষের ছবি। তারপরও থেমে থাকেনি। শতাব্দীর পর শতাব্দী। ১৪০০ বছর পর ২০১৯ সালে এ যুগের এমরান তার রচিত কিছু কবিতায়ও স্বকীয়তা বজায় রেখেছে। কবিতার বিষয়বস্তু উপস্থাপনে বাক্য নির্মাণে শব্দ চয়নে, দক্ষতা চোখে পড়ার মতো। বাবা কবিতাটি গ্রাম বাংলার শাশ্বত জীবনের কথা। খেটে খাওয়া অবহেলিত সহজ সরল এক পিতার প্রতিচ্ছবি-
গায়ের শার্টটা তিল ভরা শত
কলারটা ফেটে হয়ে গেছে ক্ষত
তবুও যে শার্টটা পাল্টাতে না চায়।
সন্তান-সংসারের চিন্তা করতে করতে
অনায়াসেই যে জীবনটা পার করে দেয়।
হ্যা, ঠিক তাই। এমন মানুষইতো বাবা হয়।
শেষের চরণটি এভাবে যোগ না করল্ওে পাঠকের হৃদয়ের তন্ত্রীতে বাবার প্রতি যে শ্রদ্ধা তা অনুরনন হয়েছে। অনুরুপ এরানের “মা” শিরনামের কবিতাটিও একই দৃষ্টিভঙ্গি ও একই ছন্দে রচিত। কোন হেরফের নেই। মানুষকে ভালবাসার জলন্ত দৃষ্টান্ত এ কবিতাদ্বয়। মানুষকে ভালবাসার অর এক বাস্তব নিদশন কাব্যের 54 নং কবিতায়। গর্ব করে বলেছে—
আমি একজন বীমা শিল্পী
এটাই আমার অহংকার
আমি মানুষকে্ ‍ঋণমুখিতা থেকে ফিরিয়ে সঞ্চয়মুখী করি-
আমি মৃত্যুর পরও মানুষের লাশকে
পরিবারের নিকট অমূল্য সম্পদ করে তুলি।
এছাড়াও আরো কয়েকটি কবিতায় মানুষের কথা রয়েছে।। কবি আবার কখনো নিজেকে নিয়ে ভাবে। প্রেমাষ্পদের চিত্র আকে তার বিদীর্ন হৃদয়ে।
স্যতস্যতে জলমাখা তোমার আঁখির পরে চেতনা হারিয়ে অবচেতন মনে এক অনন্য উচ্ছলতা ঘিরে।
তরুণ কবি এমরান চিরন্তন বাংলার চিত্র অঁকার চেষ্টা করেছে-তার কবিতায়-
চৈতালি ফুলের পুস্পরেনু, অম্রকাননে ভ্রমরেরা, আঁকাবাঁকা মেঠোপথে,
পালতোলা নায়ে,গায়ের ছেলে, উদোম গায়ে গ্রীষ্মের খরতাপে, নায়ের লগি পায় না মাটি, গরম জিলাপি মুড়িয়ে কলাপাতা, বোহেই পাতা নকুল দানা, ব্যঙের ছানা, শাপলা লতা ইত্যাদী ইত্যাদী। এ সবই চিরন্তন।
তালগাছের ভেলায় চড়ে, ধান ক্ষেতের আইলে কৈয়েরা, মাছ ধরার চাই পাতা।
কবির নেতা কথন পেুরনো কাসুন্দি নতুন করে শুনতে ভাল লাগে।
ভোট আসে ভোট যায়
নেতার বেটাই নেতা হয়
আমজনতা হায় হায়
পায়ের কাছেই পড়ে রয়।
এখানে কবির বাস্তবদর্শী সচেতন মানুষের জীবন দর্শনের কথা ব্যক্ত হয়েছে। সমাজে শিক্ষাঙ্গনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছু চিহ্নিত দুর্বৃত্তের নগ্ন কার্য্কলাপ ও তাদের ঘৃনিত ব্যবহার অসহ্য। কবি তাদের হিংস্র কুকুরের সাথে তুলনা করেছে। বুয়েটের শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া নিবাসী আবরার ফাহাদকে নিয়ে—
আর কত কামড়াবি তোরা
তোদের নির্মম অত্যাচারে মরল মেধাবী ছাত্র আবরার
তোরা পাষান তোরা কুৎসিৎ…
ঘৃর্নিত তোরা লজ্জিত জাতি
আহ। পেতি না রেহাই কখনোই কুকুরের দল-
বেঁচে থাকতো যদি আজি বাঙ্গালী জাতির পিতা।
কবিতার শেষ চরণে এসে দেখতে পাই তরুন কবি এমরানের উপলব্দি আর হৃদয়ে ভক্তিশ্রদ্ধা। এ যে তার দীক্ষা। জাতির পিতার আদর্শের প্রতি অবিচল শ্রদ্ধাঞ্জলী। এরকম কবিতা আগামীতে প্রত্যাশা।
মানবতা বা বিবর্তিত মানবতা ও নদীকে নিয়েও কবিতা রয়েছে। এই শব্দদুটি কবি এমরানের খুবই প্রিয় বিষয় বলে মনে হয়েছে।
ঢাকার ণোলক প্রকাশন কর্তৃপক্ষ প্রকাশনার মত বিরাট দায়িত্ব গ্রহণ করলেও ৬৬ টি কবিতার মধ্যে জীবন এক জলকনা নামের কোন কবিতা নেই। এরকম দৃষ্টান্ত অনেক কাব্যগ্রন্থে আছে। ওয়ালিউল ইসলাম প্রচ্ছদের দায়িত্ব পালন করেছে। সামিরা রশিদ প্রিতুলার কম্পিউটার কম্পোজও বই বাঁধানো গ্রন্হের বাড়তি সৌন্দয বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে৤ বিধায় আইডিয়া প্রিন্টাস মুদ্রনের কাজটি সুচারু রূপে সম্পন্ন করেছে৤ নোলকের এমএম খান ও এম নন্দিনী খানসহ প্রকাশনে যুক্ত সকল কর্ম্কর্তা কমচারীর যৌথ এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়৤ গ্রন্হের মূল্য 200.00 টাকা৤ পৃষ্ঠা সংখ্যা 80৤
“জীবন এক জলকনা” কাব্য গ্রন্থটি উৎসর্গ করেছে এমরান তার মা জননীকে। পৃথিবীর সবচেয়ে যিনি আপনজন। মোহাম্মদ এমরানকে কখনো মনে হয়েছে মানবদরদী, সংবেদনশীল। কখোনো খানিকটা রোমান্টিক। তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনুভূতি আর যুক্তি বিচারই “জীবন এক জলকনা” কাব্য গ্রন্হে প্রতিফলিত।
আমার বিশ্বাস, কাব্যগ্রন্থটি বাংলা সাহিত্য নিয়ে যারা চর্চা করেন সেই সুধী মহলে সমাদৃত হবে।তরুন কবি মোহাম্মদ এমরানের দীর্ঘ জীবন ও সাফল্য কামনা করি।।
লেখক: চিত্রশিল্পী, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও দৈনিক শাহনামার সাহিত্য সম্পাদক।
১৫/0২/২0

সর্বশেষ