১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কলাপাড়ায় জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে গ্রামের পর গ্রাম, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

কলাপাড়া (পটুয়াখালী)  প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের রাবনাবাদ নদী ঘেঁষা গ্রামগুলোতে এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত কোন উন্নতি হয়নি। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রায় ১১ টি গ্রামের মানুষ। রান্নার চুলা থেকে টয়লেট সবকিছুই পানিতে ডুবে গেছে। একই অবস্থা ধানখালী ও চম্পাপুরের ইউনিয়নের নয়টি গ্রামের। আমন ক্ষেতসহ বাড়িঘর পুকুর, মাছের ঘের সবকিছুই পানিতে ডুবে গেছে। ওইসব গ্রামে অধিকাংশ মানুষ এখন অনেকটাই জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অমাবস্যা ও লঘুচাপের প্রভাবে গত দু’দিন ধরে গোটা উপকূলে বইছে অস্বাভাবিক জোয়ার। বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রতিদিন দু’দফা জোয়ারের পানিতে প্রবেশ করে এমন দশা হয়েছে। চরম দূর্ভোগে পড়েছে ওইসব গ্রামের মানুষ। এছাড়া কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর এখন উত্তাল রয়েছে। জেলেরা মাছ শিকার বন্ধ করে হাজার হাজার ট্রলার নিয়ে মৎস্য বন্দর মহিপুর আলীপুর আড়ৎ ঘাটের শিববাড়িয়া নদীতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

চম্পাপুরের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার বলেন, বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে উত্তর চালিতাবুনিয়া, দক্ষিন চালিতাবুনিয়া, দেবপুর ও পাঁচজুনিয়া গ্রাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট বাড়িঘর সব পানির নিচে। এসব গ্রামে প্রায় ১০ হাজার মানুষ এখন চরম দূর্ভোগ রয়েছে।

ধানখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার জানান, দেবপুরের বাঁধ ভাঙ্গার কারণে গত দুই দিন ধরে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি প্রবেশ করে লোন্দা ও নিশাবাড়িয়া গ্রামের মানুষের বাড়িঘরসহ চাষের জমি সব ডুবে গেছে। এসব গ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আরিফ হোসেন বলেন, ধানখালী ও চম্পাপুর অংশের ভাঙ্গা বেড়িবাঁধের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। এছাড়া লালুয়া বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশের কাজ পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ করবেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

সর্বশেষ