১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
আদালতের আদেশ পালন না করায় পটুয়াখালীর ডিসিকে হাইকোর্টে তলব আড়াই বছরের সাজার ভয়ে ১২ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না রনির বাংলাদেশের কোনো তরুণ-তরুণী আর বেকার থাকবে না: পলক পুঁজিবাজারে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়াল যমুনার তীরে গর্তে মিলল নি*খোঁজ ২ ভাইয়ের মরদেহ ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সম্মাননা পদক পেলেন লায়ন গনি মিয়া বাবুল মঠবাড়িয়ায় রহস্য জনক ভাবে শিশু সন্তান নিয়ে নারী নিখোঁজ  সড়ক দুর্ঘটনা অন্যতম জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাদারীপুর অনলাইন ম্যানেজমেন্ট ও সঞ্চয়ের উপকারিতায় অবহিতকরণ সভা চরফ্যাশনে চুরির অপবাদে ডেকে নিয়ে রিকশাচালককে মারধর, ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই

আমতলীতে চাঁদা দাবির মামলায় আ.লীগ-যুবলীগ নেতাসহ ১২ জন কারাগারে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক :: বরগুনার আমতলীতে চাঁদা না পেয়ে কুপিয়ে হাত-পা কেটে দেওয়ার মামলায় আমতলী যুবলীগ সভাপতি, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ ১২ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার অন্য দুই আসামি পলাতক ও একজন জামিনে।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদ হাসান এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন-জিএম, মুছা ওরফে আবু মুছা, মোয়াজ্জেম হোসেন, জিএম ওসমানী হাসান, আল ফাহাদ, মতিন, তানজিল, রিয়াজ, রুবেল, আশিকুর রহমান আসলাম, মিরাজ মিয়া, কবির ও সবুজ। এরা সবাই আমতলী পৌরসভার বাসিন্দা।

এদের মধ্যে জিএম মুছা আমতলী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জিএম হাসান আমতলী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মোয়াজ্জেম হোসেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। এ মামলায় মালেক ও মো. হাসান নামের দুজন পলাতক। রায়হান জামিনে রয়েছেন।

আমতলী পৌরসভার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে আমতলী থানায় জিএম মুছাসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছিলেন। মামলার বাদী আবুল কালাম আজাদ পেশায় একজন ঠিকাদার।

মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২১ মে রাত ৮টার দিকে আবুল কালাম আজাদ আমতলীর খুরিয়ার খেয়াঘাট থেকে নোমরহাট পাকা রাস্তায় পৌঁছালে আসামিরা তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাদী চাঁদা দিতে না চাইলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আবুল কালাম আজাদের দুই পা, দুই হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেন। এক পর্যায়ে হাত-পায়ের রগ কেটে দেন।

বাদীর মামা আমতলী পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, আসামিরা আমার ভাগিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। আল্লাহ তাকে বাঁচিয়েছেন। ভাগিনা চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে। এদিকে আদালতের বারান্দায় আসামি জিএম মুছাকে বলতে শোনা যায়, আমতলীর মেয়র রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। বাদীর ঘটনার দিন আমি আমতলী মাতৃছায়া কাপড়ের দোকানে ছিলাম। সিসি ক্যামেরা তার প্রমাণ। এ ঘটনায় আমরা জড়িত না থাকলেও আমাদের জড়ানো হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী জহিরুল হক নান্না বলেন, আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ