১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

আজ বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম শুভ জন্মদিন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মুহাম্মাদ ইমাদুল হক প্রিন্স

বাঙালির জন্য রাষ্ট্র দিয়েছেন শেখ মুজিব। আর রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর ভিত গড়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা আমাদের আশার বাতিঘর। আস্থার ঠিকানা। বেঁচে থাকার অবলম্বন। সম্প্রীতির ধারক ও বাহক। পথ চলার অনন্ত প্রেরণা। তিনি বাংলার মানুষকে আপন করে ভালোবেসে মুক্তির মিছিলে ছিলেন আশৈশব। তাকে যেন আমরা বাংলার ষড়ঋতুতে খুঁজে পাই। তার স্নেহ, মায়া-মমতার পরশে দুঃখী মানুষ খুঁজে পায় শান্তির ঠিকানা। তেমনি আবার তার অদম্য সাহস আর সংগ্রামী চেতনায় জেগে উঠে মুক্তিকামী মানুষ।

মধুমতি নদীবিধৌত ততকালীন গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের নিভৃত পল্লীতে ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে আসেন শিশু শেখ হাসিনা। বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কাটে বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায় বাঙালির চিরায়ত গ্রামীণ পরিবেশে, দাদা-দাদির কোলে-পিঠে।

এক বর্ণাঢ্য সংগ্রামমুখর জীবন জননেত্রী শেখ হাসিনার। এই কর্মময় জীবন কুসমাস্তীর্ণ ছিল না মোটেই, ছিল কণ্টকাকীর্র্ণ। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস তিনি গৃহবন্দি থেকেছেন। সামরিক স্বৈরশাসনামলেও বেশ কয়েকবার তাকে কারানির্যাতন ভোগ ও গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। বারবার তাঁর জীবনের ওপর ঝুঁকি এসেছে। অন্তত ২০ বার তাঁকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি অসীম সাহসে তাঁর লক্ষ্য অর্জনে থেকেছেন অবিচল।

একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইতোমধ্যে তিনি শান্তি, গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পদক, পুরস্কার আর স্বীকৃতিতে।

নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, দৃঢ় মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলি তাঁকে আসীন করেছে বিশ্বনেতৃত্বের আসনে। শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ সালে প্রথমবার, ২০০৯-২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার, ২০১৪-২০১৮ সালে তৃতীয়বার এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সালে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছেন। দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করে চলেছেন এখনও। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কল্যাণকর রাষ্ট্রগঠনের প্রবক্তা। রাষ্ট্র পরিচালনায় রয়েছে তার প্রজ্ঞাময় দূরদৃষ্টি। বাঙালির জন্য রাষ্ট্র দিয়েছেন শেখ মুজিব। আর রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর ভিত গড়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়। দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি বিদেশি মদদপুষ্ট ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুর বিরূদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করে। ফলস্বরূপ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বদেশে ফিরে আসেন। তাকেও অসংখ্য বার হত্যার চেষ্টা করা হয়। তবে প্রতিবারই তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা আমাদের আশার বাতিঘর। আস্থার ঠিকানা। বেঁচে থাকার অবলম্বন। সম্প্রীতির ধারক ও বাহক। পথ চলার অনন্ত প্রেরণা। তিনি বাংলার মানুষকে আপন করে ভালোবেসে মুক্তির মিছিলে ছিলেন আশৈশব। তাকে যেন আমরা বাংলার ষড়ঋতুতে খুঁজে পাই। তার স্নেহ, মায়া-মমতার পরশে দুঃখী মানুষ খুঁজে পায় শান্তির ঠিকানা। তেমনি আবার তার অদম্য সাহস আর সংগ্রামী চেতনায় জেগে উঠে মুক্তিকামী মানুষ।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। শেখ হাসিনা কোনোরকমে বেঁচে গেলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ নৃশংসভাবে নিহত হন ২৪ জন। আর আহত হন শত শত কর্মী। সামনের কণ্টকাকীর্ণ বন্ধুর পথ আছে জেনেও তিনি পিতার আর্দশের রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেননি। দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করে চলেছেন এখনও। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কল্যাণকর রাষ্ট্রগঠনের প্রবক্তা। রাষ্ট্র পরিচালনায় রয়েছে তার প্রজ্ঞাময় দূরদৃষ্টি।তে তিনি বেঁচে আছেন। কিন্তু জীবনবাজী রেখে তিনি অকুতোভয় সৈনিকের মত বাঙ্গালী জাতির উন্নয়নে তথা মানবতার উন্নয়নে জীবন উৎসর্গের পথে চলেছেন।

কেন তিনি অতূলনীয়? কোন্ বাঙ্গালী নারী তাঁর অবদানের সমতূল্য? যদি বলি বিশে^র কোন্ নারী তাঁর সমতূল্য? তাঁর সততা, সাহস, ত্যাগ, দেশপ্রেম, মায়ামমতা, বিচক্ষণতা, মানবতা, সফল নেতৃত্ব, দৃঢ়তা, পরিশ্রম, ন্যায়নিষ্ঠা, নির্লোভ, সহজসরল জীবনযাপন, দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ভূমিকা, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাসহ প্রযুক্তিগত উন্নয়নে তাঁর সমতূল্য কে? নারীপুরুষ নির্বিশেষে কয়জন তাঁর সমতূল্য?

তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চারবার নির্বাচিত হয়েছেন। পৃথিবীর অন্য যে কোন নারীর তূলনায় এটি ব্যতিক্রম। দেশ বিদেশে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিই কি প্রমান করেনা তিনি অতূলনীয়? তিনি ৪০টিরও অধিক আন্তর্জাতিক পদক পেয়েছেন। তিনি নিজ দেশের কল্যাণে বিশেষ করে নারী ও শিশু উন্নয়নে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতায় অবদানের জন্য, শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র সমুন্নতকরণ, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, মানবতা প্রতিষ্ঠা, নারী শিক্ষা ও উদ্যোক্তা তৈরী, শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, আইসিটি ডেভেলপমেন্ট, লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসকরণ, মাতৃ মৃত্যু হ্রাস, ক্ষুধা ও দারিদ্র নিরসন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, পরিবেশ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এসব পদক পেয়েছেন। তিনি ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন। তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী এবং মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে আপোষহীন। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ব্যবস্থা করণসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। সংবিধান সমুন্নত করণসহ জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ, পদ্মাসেতু নির্মাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া, রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন, কৃষক, ভূমিহীন ও দুস্থদের উন্নয়নে ভূমিকা, বিভিন্ন ভাতা প্রদান, শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন, দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নয়ন, বর্ধিত সমুদ্রসীমা অর্জন, মাথাপিছু আয়বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি, দারিদ্রহার হ্রাস, মানব উন্নয়ন, গবেষণাখাতে অর্থ বরাদ্ধ বাড়ানো, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে রেকর্ড, শিল্পায়ণ তরান্নিতকরণ, কৃষি উন্নয়ন, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, মহাশুন্যে স্যাটেলাইট প্রেরণ ইত্যাদি হাজারো বিষয়ে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন সারা বিশ্বে স্বীকৃত। সার্বিক বিবেচনায় নারী উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষার প্রসার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা উপযুক্ত বলে আমি মনে করি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচী তিনি গ্রহণ করেছেন। আজ সারা জাতি আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাঁর নির্দেশে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

দেশ আজ উন্নয়ন সূচকের সর্বোচ্চ রেকর্ডে অবস্থান করছে। সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদান করতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তিনি শান্তির বাণী এবং উন্নয়নের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রচার করছেন।

বঙ্গবন্ধু বলতেন, “এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত খেতে না পায়। এ স্বাধীনতা পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ-যারা আমার যুবক শ্রেণী আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়।”

বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন তথা সোনার বাংলা বিনির্মাণে শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মানবতার মা হিসেবে তিনি মুজিববর্ষে সারাদেশে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পাকা বাড়ি নির্মাণ এবং রোহিঙ্গাদের দেশে আশ্রয় দিয়ে বিশ্ব ইতিহাসে নজির সৃষ্টি করেছেন। করোনাকালীন সময়ে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস ও শক্তি যোগানোর পাশাপাশি ভ্যাকসিন, খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেছেন। এ ধরনের মহান মানবিক উদ্যোগ বিশ্বে খুব কমই চোখে পড়ে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী চিন্তায় বাংলাদেশে আমূল পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। তার নেতৃত্বেই আকাশ এবং সমুদ্র বিজয় হয়েছে। শহর ও গ্রামের রাস্তার ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান। বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও নির্মিত হচ্ছে ফ্লাইওভার। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন বিশিষ্ট টানেল নির্মিত হচ্ছে তার নির্দেশনায়। এই টানেল নির্মাণ শেষ হলে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পূর্বপ্রান্তে গড়ে উঠবে পর্যটন শহর।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ এখন শেষ পর্যায়ে। রাজধানীতে নির্মিত মেট্রোরেল, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের পথে।

এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়ন, ধর্মনিরপেক্ষতা, দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক মুক্তি, শিক্ষা, সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন, নারী উদ্যোক্তা তৈরি, পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ, বেকারত্ব দূরীকরণ, বাল্যবিবাহ রোধ, গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা, সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা চালু, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন, সাধারণ মানুষের জীবনমান পরিবর্তন, তরুণদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা, টেক্সই উন্নয়নে আইসিটির ব্যবহার, সম্প্রীতি-সদ্ভাব, পরিবেশ রক্ষা, তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির বহুল ব্যবহার, লিঙ্গসমতা, দুর্নীতি দমন, রপ্তানিমুখি শিল্পাঞ্চল, অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে অর্থনৈতিক সূচক বৃদ্ধিসহ নানামুখি উন্নয়ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিশ্রমের ফসল। ইতোমধ্যে তার গৃহীত নানামুখি প্রকল্পের সুফল আমরা পাচ্ছি। এভাবে তিনি বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্থান করে নেয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিশ্বদরবারে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তার সুদূর প্রসারী রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর দূরদর্শিতায় দুর্বারগতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তার জন্যই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের গৌরবময় পথ চলা শুরু, যা এখনও চলমান। যেমন- সামাজিক নিরাপত্তায় বরাদ্দ ৯৫,৫৭৪ কোটি টাকা, খাদ্য উৎপাদন ৪২১ লাখ মেট্রিক টন, অতি দারিদ্র্যের হার ১০.৫%, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলার, রেমিটেন্স আয় ২২৮৪ কোটি মার্কিন ডলার, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ২০,০০০ (প্রস্তাবিত), রপ্তানি আয় ৩৫১৮ মিলিয়ন ডলার, গড় আয়ু ৭২.৬ বছর, মাথাপিছু আয় ২২২৭ মার্কিন ডলার, দারিদ্র্যের হার ২০.৫%, মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫১২ কিলোওয়াট/ঘণ্টা, কৃষি ভর্তুকি প্রদান ৯,৫০০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫,২২৭ মেগাওয়াট, মোট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১৪৯টি এবং বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী ৯৯%।

মহামারি করোনাকালীন সময়েও শেখ হাসিনা সামনে থেকে প্রশংসনীয় সফল ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ সময়ে মানুষের জীবন-জীবিকার চাকা সচল রাখতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্বে টিকা প্রস্ততে সক্ষম দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর মতো তিনিও সাদাসিধে মোহহীন জীবনযাপন করে দেশের উন্নয়নে অবিরত কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পিতার মতো দেশ গড়ার কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করে নিজেকে উৎসর্গ করেন। প্রধানমন্ত্রীর এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়ন, মানবিকতা, উদারতা, অসাম্প্রদায়িকতা, ত্যাগের আদর্শ ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞাদীপ্ত চিন্তাধারা আজ বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে।

সকলের প্রতি আহ্বান ভুলপথ পরিহার করে সত্যপথে, দেশগড়ার পথে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থা রেখে এগিয়ে চলুন। তবেই এ অতূলনীয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিশ্রম স্বার্থকতায় রূপ নিবে। আমরা পাব বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। এ দিনে মহান আল্লাহ তায়লার কাছে তাঁর দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য, সুখী ও শান্তিময় জীবন কামনা করি।

সবশেষে কবির ভাষায় বলি-

আলোক ছড়ায় আলোকিত জন

উন্নত শির কর্মে

তোমার অবদান কতই মহান

অনুভব করি মর্মে।

লেখকঃ- মুহাম্মদ ইমাদুল হক প্রিন্স
সহকারী রেজিস্ট্রার (পিআইডিসি)
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

সর্বশেষ