২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বরিশালে ব্রেক ফেল করা বাসেরচাপায় হেলপার নিহত হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৪ জন গলাচিপার গলাচিপায় বিভিন্ন শ্রমজীবীদের মে দিবসে সমাবেশ ও আলোচনা গলাচিপায় জাতীয় স্বাস্থ্য ও ৫০ তম কল্যাণ দিবস পালিত গলাচিপায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল বারেক মিয়ার ২৮ তমতম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত মেহেন্দিগঞ্জে নির্মাণাধীন ঘরে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু বরিশালে মসজিদ থেকে ১৩ কেজি গরুর মাংস চুরি মহান মে দিবসে জনতা ব্যাংক পিএলসি,এরিয়া কমিটি সি,বি,এর উদ্যোগে নানা কর্মসূচী পালন দুমকিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মেহেদী মিজান'র নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন প্রাণ জুড়াতে কাঁচা আমের আইসক্রিম

উজিরপুরে ভুয়া সনদ দিয়ে শিক্ষক ও অফিস সহকারীর চাকরির অভিযোগ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

উজিরপুর(বরিশাল)প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে বড়াকোঠা ইউনিয়নের গাজিরপার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক নাসির উদ্দিন ও অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল সনদ দিয়ে চাকরি এমপিও ভূক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ডালিম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম জাহিদুর রহমানকে প্রধান ও জেলা শিক্ষা গবেষণা কর্মকর্তা নিপুন মন্ডল এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা একাডেমিক সুপারভাইজার সুমন চৌধুরীকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা শিক্ষা অফিস। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য ডালিম গত ১৪ সেপ্টেম্বরে একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালক- দূর্গা রানী সিকদার গত ২৭ সেপ্টেম্বর লিখিত একটি চিঠিতে বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। গত ২ অক্টোবর বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন করে। অভিযুক্ত সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক নাসির উদ্দিন জানান, ২০০৩ সালে ২৮ সেপ্টেমবর বিধি অনুসারে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করি। সকল কাগজ পত্র বৈধ কোন ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি গ্রহন করেনি। ব্যক্তিগত শত্রুতার জন্য হয়রানি করছে। অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার রফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালে ৪ সেপ্টেম্বরে ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য ডালিম থাকার সময় আমার নিয়োগ হয়েছে। তখন আমি সকল বৈধ কাগজ পত্র দিয়ে নিয়োগ নিয়েছি। এখন কিভাবে ভুয়া হলো আমার বুঝে আসে না। কেউ যদি পারিবারিক ইস্যুকে ব্যবহার করে অযথা হয়রানি করার চেষ্টা করে তাহলে কিছু বলার নেই। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান জানান, যখন আমরা নিয়োগ দিয়েছি তখন তাদের কাগজপত্র যাচাই করে সঠিক পেয়েছি। এখন যদি তদন্ত কমিটি তাদের কাগজপত্র ভুয়া প্রমানিত করে তাহলে সেই নিয়োগের দায়ভার ম্যানেজিং কমিটিসহ আমাদের নিতে হবে। অভিযোগকারী ওই বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ডালিম জানান, দশ বছর পরে শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে একটি অডিট হয়। সেই সময় অডিট প্রতিনিধি সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক নাসির উদ্দিনের সনদ ভুয়া পায় বিষয়টি গোপন থাকলেও পরে ওই বিদ্যালয়ের ক্লার্ক রফিকুল ইসলাম ম্যানেজিং কমিটিকে গোপনে জানায় এবং ওই ক্লার্কের সনদও ভুয়া তা ওই অভিযুক্ত শিক্ষক জানায় । তাদের দু’জনের কথা এলকায় জানাজানি হলে স্কুলের সুনাম নষ্ট হয়েছে। তাই শিক্ষা অধিদপ্তরে তাদের সনদপত্র যাচাইয়ের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি পাওয়ার পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্টের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে দ্রুত সঠিক তথ্য যাচাই জরে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ