২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজধানীতে প্রতারণার দায়ে চিকিৎসকের কারাদন্ড ! কর্তৃপক্ষের অর্থদন্ড

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর মতিঝিলে একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে এক চিকিৎসককে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। জলিয়াতির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত মিজানুর রহমান নামে ওই চিকিৎসককে ২ বছরের বিনাশ্রম সাজা দিয়েছে।

আজ রোববার (২৮ জুন) দুপুর সোয়া ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে পরিচালিত অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ওই চিকিৎসকের সহযোগীসহ আরও তিন জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, মতিঝিল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে কাজ করছিলেন আটক মিজানুর রহমান। তিনি তার প্রেসক্রিপশনে নিজেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও এমফিল ডিগ্রিধারী দাবি করতেন। অথচ তিনি একজন ইউনানী চিকিৎসক। গ্রেপ্তারের পর তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তাকে সহায়তা করায় হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারভাইজার হাসিনুর রহমানকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনাকরী র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় ভুয়া চিকিৎসকের অপতৎপরতাসহ বিভিন্ন বিষয় নজরদারি করছে গোয়েন্দারা। মতিঝিলের এই হাসপাতালটিতে ভুয়া চিকিৎসক থাকাসহ বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে ভুয়া চিকিৎসককে মিজানুর রহমানকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রচার এবং চেম্বার করার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় হাসপাতালটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারভাইজার মো. হাসিনুর রহমানকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

একই সময় হাসপাতালটির ফার্মেসিতে অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ইনজেকশন, সার্জিক্যাল আইটেম এবং ওষুধ রাখার দায়ে শফিউল ইসলাম ও আব্দুল জলিল নামে আরও ২ জনকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সর্বশেষ