১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

গলাচিপায় নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

তারিখঃ ২৩ নভেম্বর ২০২২

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় রামনাবাদ, বুড়াগৌরঙ্গ, আগুনমুখা ও তেঁতুলিয়া নদীতে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বেড় ও বেহুন্দি জাল দিয়ে প্রতিনিয়ত অবাধে মাছ চলছে শিকার। ভয়ংকর এইসব জাল দিয়ে শুধু মাছ শিকারই নয় ধ্বংস করা হচ্ছে সকল প্রজাতির মাছের রেনু ও উপকারী জলজ কিট পতঙ্গ। ফলে দিন দিন প্রাকৃতিকভাবে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা না নেয়া হলে হারিয়ে যাবে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বুধবার (২৩ নভেম্বর) সরেজমিন পরিদর্শনকালে জানা যায় গলাচিপার রামনাবাদ, বুড়াগৌরঙ্গ, আগুনমুখা ও তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বেড় ও বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। একাধিক ডুবো চর এবং নদীর তীর ঘেঁষে কয়েক’শ মিটার দৈর্ঘ্যের একেকটি বেড় জাল জোঁয়ারের সময় পাতা হয়। ভাটার সময় পানি নেমে গেলে বেড় জালে আটকা পড়ে ছোট বড় মাছের পাশাপাশি অসংখ্য মাছের রেনু আর কারেন্ট জালে জাটকা ধরা পড়ায় বড় ইলিশ সম্পদ বিলীনের পথে। অপরদিকে বেহুন্দি জালকে স্থানীয় ভাষায় বাঁধা জাল বলা হয়। এই বাঁধা জাল পানির গভীরে আড়াআড়ি ভাবে পাতা হয়। বেহুন্দি জালে আটকে পড়া মাছের সঙ্গে অংসখ্য রেনু মারা যায়। সরকারি নিয়মে ৪ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ফাঁসের জাল দিয়ে নদীতে মাছ শিকার করার নিয়ম। অথচ বেড় জাল তৈরি করা হয় মশারী দিয়ে। অপরদিকে বাঁধা জালের ফাঁস মশারীর ফাঁসের চেয়ে কিছুটা বড়। জেলেদের মধ্যে বেড় ও বাঁধা জাল রাক্ষুসে জাল হিসেবেও পরিচিত। ইলিশ প্রজননের জন্য ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার পর বর্তমানে নদ-নদীতে ‘চাপিলা’ হিসেবে পরিচিত ইলিশের পোনায় সয়লাব হয়ে গেছে। প্রতিবছরই ইলিশের পোনা শিকার করার জন্য নিষিদ্ধ বাঁধা জাল ব্যবহার করে একটি অসাধু চক্র। এবারও বিভিন্ন নদীতে বাঁধা জাল পেতে মাছ শিকারের মহোৎসবে মেতেছে কিছু অসাধু জেলে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী বলেন, নদীতে কারেন্ট, বাঁধা ও বেড় জালের কারনে প্রকৃতিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশবৃদ্ধি ব্যহত হচ্ছে। আমাদের অভিযান অব্যহত আছে।

সর্বশেষ