৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পটুয়াখালীতে মরদেহ নিয়ে মিছিলের পর আসামি গ্রেফতার

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::: পটুয়াখালীর দুমকিতে চাঁদা না দেওয়ায় জাহাঙ্গীর ফকির এক হোটেল ম্যানেজারকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সাকিব গাজী নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে বরিশালের উজিরপুরে আসামির খালার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ওইদিন সকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে নিহত হোটেল ম্যানেজারের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে স্বজনরা। ওই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় স্থানীয় শত শত নারী-পুরুষ ও জনপ্রতিনিধিরা।

শনিবার (১০ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম মামলার প্রধান আসামি সাকিব গাজীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার পর থেকে সাকিব দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিচয় গোপন করে পলাতক অবস্থায় ছিল। শুক্রবার রাতে উজিরপুরে খালার বাসায় আশ্রয় নিলে প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান সনাক্ত করে ভোররাতে তাকে গ্রেফতার করে পটুয়াখালী সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২ জুন সন্ধ্যায় পটুয়াখালী শহরের ফটিকের খেয়াঘাট সংলগ্ন সিকদার গেষ্ট হাউসে বসে মাদক সেবনকালে চাঁদা চাওয়ার পর তা না পেয়ে হোটেলটির ম্যানেজার জাহাঙ্গীর ফকিরের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাকিব গাজী ও তার লোকেরা। টানা ৬দিন যন্ত্রণা ভোগের পর বুধবার গভীর রাতে শেখ হাসিনা বার্ণ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জাহাঙ্গীরের। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই জামাল ফকির গত ৬ জুন সাকিব গাজী ও শাহীন গাজী এবং অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের নামে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শুক্রবার সকালে দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া বোর্ডবাজার এলাকায় জাহাঙ্গীরের মরদেহ নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। এরপর মুরাদিয়া জয়গুননেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজ শেষে তার মরদেহটি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সর্বশেষ