বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
পেঁয়াজের দাম নিয়ে নতুন করে জানান দেওয়ার কিছু নেই। দেশের অন্যান্য জায়গার মতো বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় একই অবস্থা। এই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ইতোমধ্যে অনেকেরই ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এমনকি বাজার ঘুরতে গিয়ে দুজন ভিক্ষুকেরও দেখা মেলে যারা চাল ও টাকা চাইছেন না, পেঁয়াজ ভিক্ষা চাইছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতিমা আজরীন তন্বী উপজেলার গৈলা বাজারে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য অভিযান পরিচালনা করেন। তার অভিযানের সংবাদ পেয়ে ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। এসময় স্থানীয় ক্রেতারা ব্যবসায়ীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রোববারও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যে ক্রেতারা হতাশা প্রকাশ করছেন। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে আমদানি কম থাকায় এই উচ্চমূল্য। বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানে পেঁয়াজ নেই। দুই একটি দোকানে অল্প পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ থাকলেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের আমদানি খুব কম। দেশি পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে কোনো পেঁয়াজ নেই। বিদেশি পেঁয়াজ যেগুলো দেশে আসছে তা ঢাকা-চট্টগ্রামেই শেষ হয়ে যায়। মফস্বলে সে পেঁয়াজ আসে না। এ সময় দুই নারী ভিক্ষুককে দেখা যায় তারা টাকার পরিবর্তে দুইটা পেঁয়াজ ভিক্ষা চাচ্ছেন। দোকানিরা ভিক্ষুকদের দুই টাকা করে দিতে চাইলেও তারা টাকার বদলে পেঁয়াজ চান। কিন্তু পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় কিছু কিছু ব্যবসায়ী ভিক্ষুকদের দু-একটি পেঁয়াজ দিলেও বেশির ব্যবসায়ীরা টাকা দিয়ে বিদায় দিচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন বাড়িতে ভিক্ষুকরা চালের পরিবর্তে পেয়াজ ভিক্ষার খবর পাওয়া গেছে। এব্যাপারে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য গতকাল সোমবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতিমা আজরীন তন্বী উপজেলার গৈলা বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।