পরকীয়া বিতর্কে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলামকে স্ট্যান্ড রিলিজ

প্রকাশের তারিখ: এপ্রিল ২১, ২০২৪ | ১:৫৮ অপরাহ্ণ

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় “মঠবাড়িয়ায় দুই শিক্ষকের অপসারণের দাবি” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বিতর্কিত সেই শিক্ষক মোঃ মাইনুল ইসলামকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তবে সহকারি শিক্ষিকা তামান্না নুসরাত স্বপদে বহাল রয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. সাঈদুর রহমান স্বপন বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাইনুল ইসলামকে ৫২ নং মধ্য মিঠাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়েছে। শিক্ষিকা তামান্না নুসরাত এর বিষয়টিও উর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

মাইনুল ইসলাম পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী ৫৬ নং মডেল সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের (পাঠশালা) প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং তামান্না নুসরাত একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। দীর্ঘ বছরের পরকিয়ার পর সম্প্রতি তারা বিয়ে করেছে।

শিক্ষক মোঃ মাইনুল ইসলামকে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের হোতা আখ্যা দিয়ে এবং এ দুই শিক্ষকের পরকীয়ার পরে বিয়ের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে তাদের অপসারণের দাবীতে গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিকার দুপুওে মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্মূখ সড়কে মানববন্ধন হয়েছে। অভিভাবক ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার দেড় শতাধিক নারী-পুরুশ অংশগ্রহণ করেন।

এসময় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কলামিস্ট নূর হোসাইন মোল্লার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, অভিভাবক প্রভাষক মোঃ ফারুক হোসেন, শিক্ষক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, অভিভাবক সালমা বেগম, সাংবাদিক মোঃ শাহজাহান মিয়া প্রমূখ।

এদিকে সহকারি শিক্ষিকা তামান্না নুসরাত স্বপদে বহাল থাকায় ক্ষেভে ফেটে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। এ শিক্ষিকার মুঠোফানটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মাইনুল ইসলাম জানান, সহকারি শিক্ষিকা তামান্না নুসরাতকে বৈধ ও আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষে সিদ্ধান্ত আমাকে মেনে নিতেই হবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host