চুয়াডাঙ্গায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৬জন নিহত

প্রকাশের তারিখ: আগস্ট ৮, ২০২০ | ৪:২৪ অপরাহ্ণ

এম.এ.আর নয়ন, চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গা সদরের সরোজগঞ্জ বাজারে যাত্রীবাহী রয়েল পরিবহন বাসের সাথে আলমসাধু, অটোভ্যান ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬জন নিহত হয়েছেন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চুয়াডাঙ্গাগামী রয়েল এক্সপ্রেসের সাথে শনিবার (৮ই আগস্ট)  ভোর সাড়ে ৬টার সময় সরোজগঞ্জ বাজারে এই সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ২জন ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৪জনের মৃত্যু হয়।

নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। বাসটি আটক হলেও চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে ইতোমধ্যে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চুয়াডাঙ্গাগামী রয়েল এক্সপ্রেসের (ঢাকা মেট্রো -ব-১৫-২১৬১) একটি নৈশকোচ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদরের ব্যস্ততম বাজার সরোজগঞ্জে এসে যথাক্রমে একটি পাখিভ্যান, আলমসাধু (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত যান) ও একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ২জন মারা যান। আহত হন কমপক্ষে আরও ৯জন। পরে চুয়াডাঙ্গা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে মারা যান আরও ৪জন। তবে ভোর বেলা হওয়ার কারণে ওই সময় রাস্তায় তেমন কোন লোকজন ছিলোনা।

নিহতরা হলেন-সদর উপজেলার তিতুদহের তাহাজ্জত হোসেনের ছেলে সোহাগ আলী (২৫), একই গ্রামের রহিম মল্লিকের ছেলে শরিফ উদ্দিন (৩০), পিত্তর আলীর ছেলে রাজু আহমেদ (৪৫), হায়দার আলীর ছেলে কালু (৪০), খাড়াগোদার মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে মিলনে হোসেন (৪০),শ্রী নিতায়ের ছেলে শ্রী ষষ্ঠী (৪২)।

দুর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাসসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। হাসপাতালে নিহত ও আহতদের খোঁজ খবর নিতে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলমসহ পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তারা।

চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক আব্দুস সালাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, ঘাতক বাসটি আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। বাসের চালক ও সহকারী হেলপার পালিয়ে গেছে। তাদের আটক করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

তবে পরিবহন বাসচালকদের নিয়ন্ত্রণহীন গতি, রাস্তায় অবৈধ যানবাহন চালকদের নিয়ম না মানার প্রবণতার কারণে প্রতিদিনই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। ঝরে যাচ্ছে অনেক তরতাজা প্রাণ।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host