ভোলায় মহাসড়কে আওয়ামী লীগ নেতার গরুর হাট

প্রকাশের তারিখ: জুন ১৪, ২০২৪ | ১০:১৪ অপরাহ্ণ

ভোলা প্রতিনিধি :::: ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের ভোলা অংশের ইলিশা জংশন বাজারে মহাসড়কে বসানো হয়েছে কোরবানির পশুর হাট। মহাসড়কে হাট বসানো নিষেধ থাকলেও ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জংশন বাজার ইজারাদার মো. সোহরাওয়ার্দী মাস্টার এই হাট বসিয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে দেখা গেছে ইলিশা ইউনিয়নের জংশন বাজারের দক্ষিণ মাথায় মহাসড়কের দু’পাশ জুড়ে শত শত গরু সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা দরদাম করছেন। এতে মহাসড়ক দিয়ে বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে সদর উপজেলার ইলিশার হাট ও জংশন বাজারের গরুর হাট বসে ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কে। এতে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। ভোলার চারপাশে নদীবেষ্টিত হওয়ায় ইশিলা লঞ্চঘাটটি ভোলায় প্রবেশের মূল পথ। সড়কের ওপর গরুর হাট বসানোর ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সবাইকে।

জংশন বাজারের ১০-১৫ জন অটোরিকশা চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতি বছর ইলিশা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাওয়ার্দী মাস্টার ইলিশা বাজার ও জংশন বাজার ইজারা নিয়ে মহাসড়কের উপর গরুর হাট বসায়। এতে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়। বাজারের গরুর ময়লা-আবর্জনার কারণে মোটরসাইকেল চালকরাও দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে থাকে। কিন্তু ইজারাদার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেন না। প্রশাসনও অনেকটা নিরব ভূমিকায় থাকেন।
বিজ্ঞাপন

ভোলা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাওয়া ট্রাকচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ইলিশাঘাট দিয়ে তিনি প্রায়ই মালামাল নিয়ে চট্টগ্রাম আসা-যাওয়া করে থাকেন। কোরবানির ঈদের সময় এ সড়কের দুই জায়গায় গরুর হাট বসানোর কারণে যানজটের মধ্যে পড়তে হয়।

জংশন বাজারের গরুর হাটের দয়িত্বে থাকা কাঞ্চন মিয়া বলেন, ‘হাটটি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাওয়ার্দী মাস্টারের। তিনি এখানে শুধু দেখাভাল করছেন।’

ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাজার ইজারাদার সোহরাওয়ার্দী মাস্টার জানান, বাজারটি কাগজপত্রে তার নামে। তিনিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান মেম্বার, কাঞ্চন ভুলাই, জাকির হোসেন মঞ্জু মিলে ইজারা নিয়েছেন। সরকার বাজার ইজারা দেয় কিন্তু বাজার বসার কোনো জায়গা নেই। যে কারণে রাস্তার পাশেই হাট বসেছে।

ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজল চন্দ্র শীল জানান, সোহরাওয়ার্দী মাস্টার হাটটি ইজারা নিয়েছেন। গরুর হাট একটি নির্দিষ্ট স্থানে খোলা জায়গায় বসানোর কথা। সড়কের ওপরে বসানোর কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম জানান, মন্ত্রণালয় থেকেই কঠোর নির্দেশনা রয়েছে যে, মহাসড়কের কোনো গরুর হাট বসানো যাবে না। তিনি দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host