বিটিভির তালিকা ভুক্ত শিল্পী হলেন বরিশালের সুজন লষ্কর

প্রকাশের তারিখ: জুন ২৮, ২০২৪ | ৭:২১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক—
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)-এর পল্লীগীতির সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে স্থায়ীভাবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন মোহাম্মদ সুজন লস্কর।তিনি বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ৯নং গুঠিয়া ইউনিয়নের ডহরপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। ১৯৮৯সনে মোহাম্মদ সুজন লস্কর’র জন্ম।তার পিতা আব্দুল মান্নান লস্কর এবং মাতা মিসেস সাহিদা বেগম ।সাত ভাই বোনের মাঝে তিনি ছোট।

বিটিভির সঙ্গীত এর কন্ট্রোলার/ প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও অডিশন গ্রেডেশন নির্বাচনী কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ মোল্লা আবু তৌহিদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২০২৩ সনে বিটিভিতে অডিশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন মোহাম্মদ সুজন লস্কর। এসময় চার শতাধিক শিল্পী প্রতিযোগিতায় অংশনেয়।এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ বিচারক কর্তৃক পরিবেশনা মূল্যায়নে বাংলাদেশ টেলিভিশনে পল্লীগীতির সংগীত শিল্পী হিসেবে “গ” শ্রেণীতে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
১৯৯৯ সন হতে সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন সুজন।প্রথম গানের ওস্তাদ আক্কেল আলী হাওলাদার এর কাছে হাতখড়ি সুজনের।পরবর্তীতে শ্রী সুবাস চন্দ্র হালদার ও অজিত কুমার এর কাছে গানের তামিল নেয়।বর্তমানে তিনি সুশীল দাস’র কাছে গানের তালিম নিচ্ছেন।
একসময় তিনি বাংলাদেশ বেতার বরিশালে গান করতেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রোগ্রামে দীর্ঘদিন গান করছেন তিনি। বর্তমানে তিনি সংগীতের পাশাপাশি কক্সবাজারে একটি তিন তারকা মানের হোটেল’র জি এম পদে কর্মরত আছেন।
শিক্ষা জীবনে তিনি নিজ গ্রামের “এস ডি ইউ”মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এসএসসি এবং গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজ হতে এইচ এস সি পাশ করেন।
কক্সবাজার সরকারী কলেজ হতে অনার্স এবং কক্সবাজার সিটি কলেজ হতে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন।
বিটিভি’র সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন,এটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এত তারাতাড়ি আমি তালিকাভুক্ত হতেপারবো ভাবিনী। সম্মানিত বিচারকগন আমার গান শুনে মূল্যায়ন করেছেন আমি তাদের কাছে চীর কৃতজ্ঞ।এত বড় স্টেজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে পেরে অনেক আনন্দিত। যার অনুপ্রেরনায় আমি আজকে এই অবস্থানে সে আমার স্ত্রী। ভক্তদের উদ্দেশ্যে শিল্পী বলেন, সকলের সহযোগিতায় আগামীতে আরো ভালো কিছু উপহার দিবো ইনশআল্লাহ।উল্লেখ্য গত ২০জুন বিটিভিতে সুজন’র একক গান
“কি আগুন জ্বালাইলা বুকে”প্রচারিত হয়। গানটি দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সারা জাগিয়েছে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host