জিও ব্যাগেও থামছে না পিরোজপুরে বলেশ্বর নদীর ভাঙন

প্রকাশের তারিখ: জুন ২৮, ২০২৪ | ৮:৫০ অপরাহ্ণ

পিরোজপুর প্রতিনিধি ::: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় মাছুয়া ইউনিয়নের বলেশ্বর নদীতে প্রতি বছরই পানি বৃদ্ধি পেলেই শুরু হয় ভাঙন। এতে নদী পাড়ের পরিবারগুলো হারায় তাদের বসতভিটা। নদীতে জিও ব্যাগ ফেলার পরেও রোধ করা যাচ্ছে না এ ভাঙন। প্রতি বছর নদীভাঙন রোধে নেওয়া কোনো ব্যবস্থাই কাজে আসছে না।

শুক্রবার (২৮ জুন) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় মাছুয়া ইউনিয়নের বলেশ্বর নদীতে প্রায় ৫০০ মিটার নদী পাড়জুড়ে ভাঙন ঠেকাতে সারি সারি বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। কিন্তু তাতেও ঠেকানো যাচ্ছে না নদী ভাঙন। নদী তীরের রাস্তা ভাঙনের কবলে পরায় সেখান থেকে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

নদীভাঙনে ভুক্তভোগীরা জানান, সাধারণত বর্ষা মৌসুমের শুরু ও শেষের দিকে নদীভাঙন দেখা দেয়। পাশাপাশি অতিরিক্ত জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধগুলোর ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ এলাকায় এর আগে কয়েকবার জিও ব্যাগ ফেলে নদীভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থাই কাজে আসছে না। ভাঙনের ফলে মাছুয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে। এতে গৃহহীন হয়ে পড়ছে অনেক মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা গেছে, মাছুয়া স্টিমার ঘাট এলাকায় ৫০০ মিটার নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ ব্লক দ্বারা স্থায়ীকরণ করার জন্য খরচ হচ্ছে ৪৭ কোটি টাকা যা পরিকল্পনা কমিশনে দাখিল করা আছে। বর্তমানে ৩০০-৫০০ মিটার জায়গা জুড়ে বেড়িবাঁধ রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে যাতে টেকসই থাকে। জিও ব্যাগ প্রকল্পে আনুমানিক ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে।

মাছুয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া এলাকার মো. একরাম হোসেন জানান, কয়েক বছরের নদীভাঙনে আমাদের এলাকার বেশ কিছু অংশ বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও থাকবে না। প্রতিবছরই একটু একটু করে নদী ভাঙতে ভাঙতে এখন একেবারেই বসতবাড়ির সামনে চলে এসেছে। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে একটি স্থায়ী বাধ নির্মাণের দাবি জানাই।

একই গ্রামের অতুল চন্দ্র সাহা জানান, বেড়িবাঁধ থেকে অনেক দূর পর্যন্ত ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ছিল। নদী ভাঙনে সেসব বিলীন হয়ে গেছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদীতে ভাঙন সৃষ্টি হয়। কিছু জায়গার জিও ব্যাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হলে হয়ত ভাঙন রোধ করা সম্ভব হতো।

পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলার মাছুয়া ইউনিয়নের স্টিমার এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধে জিও ব্যাগ ফেলে প্রতিরক্ষা করার চেষ্টা করছি। ব্লকের প্রজেক্ট দেওয়া আছে। বরাদ্দ পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host