বরিশাল-লেবুখালী মহাসড়কের পাশে সওজ’র লাল নিশান, জনমনে আতঙ্ক

প্রকাশের তারিখ: আগস্ট ২২, ২০২০ | ৯:৫১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল-লেবুখালী মহাসড়কের দুই পাশে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের দেয়া লাল নিশানে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক দুই লেন থেকে চার লেন করার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সড়ক ও জনপথের দখল হওয়া জমি উদ্ধার শুরু হয়েছে। গত দুই দিন ধরে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বরিশাল টু লেবুখালী মহসড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের প্রস্তুত স্বরূপ ইতোমধ্যে লাল নিশান দিয়ে স্থান চিহ্নিত করেছে।

জানা গেছে, বরিশাল টু লেবুখালী মহাসড়কের দুই পাশে রয়েছে বাখরকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া গোহাট, মসজিদ-মন্দির, রেন্ট্রিতলা এতিমখানা, জৈনপুরী খানকা, আউলিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মুল ভবন, খান ফিলিং ষ্টেশন, ইসলামিয়া মহিলা কলেজ, ভেলুখা জামে মসজিদ, মুজাহিদা জামে মসজিদ, নাথবাড়ী মন্দির, সরকারি বাকেরগঞ্জ কলেজ জামে মসজিদ, হাওলাদার ফিলিং ষ্টেশন, পৌর মার্কেট, কাঁচা বাজার ও বাস টার্মিনাল, বাসস্ট্যান্ড আল-আমিন জামে মসজিদ, সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস, কারিতাস টেকনিক্যাল স্কুল, সৈয়দ ফজলুল করিম এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং, ৩টি পৌর পাবলিক টয়লেট, যুব উন্নয়ন বাউন্ডরী, চৌমাথা জামে মসজিদ, বটতলা জামে মসজিদ, লক্ষিপাশা প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুধলমৌ মাধমিক বিদ্যালয় এবং গাজী বাড়ি জামে মসজিদ। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, কিছুদিন আগে বাকেরগঞ্জ শ্রীমন্ত নদীর উপর ব্রীজ ও মহাসড়কের কাজ চলার সময় মহাসড়ক থেকে দু’পাশের দোকানপাট ২০ ফুট সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অথচ চার লেন করার প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু হতে অনেক সময় লেগে যাবে। এমন পরিস্থিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে তাদের পথে বসা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না। এসব দোকান মালিকরা ব্যাংকসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে কোন রকম ব্যবসা করছে। উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

স্থানীয় চা দোকানদার সালাম, বাবুল, জব্বার, তপনসহ অনেকেই জানিয়েছেন, চায়ের দোকান দিয়ে ছেলে-মেয়েদের পড়া-শুনা ও পরিবারের আয়ের একমাত্র পথ। এই মুহুর্তে যদি উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় তাহলে তাদের পরিবার নিয়ে পথে বসা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না।

মুদি দোকানদার মামুনসহ অনেকে জানান, কিছুদিন আগেও উচ্ছেদ অভিযান করেছে তখন অনেক দোকানপাট তারা ভেঙ্গে ফেলেছে। এখন আবার লাল রং দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়েছেন সওজ কর্তৃপক্ষ। যদি উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় তাহলে দোকন ব্যবসায়ীরা অনেক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবে। সেদিকে লক্ষ রেখে তাদের অন্যত্র স্থানান্তর না করা পর্যন্ত যাতে উচ্ছেদ না করা হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।’

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host