নামতে শুরু করেছে পায়রা নদীর পানি, তীব্র হচ্ছে নদীর ভাঙ্গন

প্রকাশের তারিখ: আগস্ট ২৪, ২০২০ | ৭:৪৯ অপরাহ্ণ

বরগুনা প্রতিনিধি।
অমবস্যার জোঁর প্রভাব ও অতি বৃষ্টিতে আমতলী ও তালতলীর উপকুলীয় এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলসহ ৩০ টি গ্রাম তলিয়ে যায়। পায়রা নদীর পানি নামতে শুরু করায় নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। দ্রুত পায়রা নদীর ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানাগেছে, গত সাত দিন ধরে অমবস্যার জোঁ প্রভাব ও অতি বৃষ্টিতে পায়রা নদীতে স্বাভারিক জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকুলী আমতলী ও তালতলীর চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায়। এতে মানুষ দুর্বিসহ জীবন যাপন করে আসছিল। পাকা আউশ ধান ও আমনের বীজতলার ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। পনি বৃদ্ধি পাওয়ায় পায়রা নদী তলদেশের মাটি আগলা হয়ে যায়। এতে নদী সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। কিন্তু পানি নামতে শুরু করায় পায়রা নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। তেতুঁলবাড়ীয়া এলাকার অন্তত এক কিলোমিটার, বালিয়াতলী এলাকায় তিন’শ মিটার ও পশ্চিম ঘটখালী এলাকার দুই’শ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানি নামায় ওই সকল এলাকার নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে।
সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার তেতুঁলবাড়ীয়া, জয়ালভাঙ্গা, গাবতলী, মৌপাড়া, পচাঁকোড়ালিয়া, বালিয়াতলী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, পশ্চিম আমতলী, ফেরিঘাট, পুরাতন লঞ্চঘাট, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বৈঠাকাটা, পশ্চিম ঘটখালী ও আঙ্গুলকাটা এলাকার নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে।
আমতলীর পশ্চিম ঘটখালী গ্রামের পান্না আকন বলেন, পায়রা নদীর পানি নামার শুরুর সাথে সাথেই ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। নদী ভাঙ্গনে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধও এখন হুমকির মুখে। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।
তালতলীর তেতুঁলবাড়ীয়া গামের মোঃ জসিম হাওলাদার বলেন, জোয়ারের পানিতে পায়রা নদীর মাটি আগলা হয়ে গেছে। ফলে পানি নামার সাথে নুতন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কায়সার আলম বলেন, পায়রা নদীর ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প দেয়া হয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host