দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুল হক নাসির সিকদারের বিরুদ্ধে মো. দুলাল হাওলাদার (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ওই ব্যসায়ীর স্ত্রী মোসা. হামিদা বেগম বাদী হয়ে দশমিনা সিনিয়র জুডিসয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিণ রনগোপালদী গ্রামের মৃত শাহাদাৎ হওলাদারের ছেলে ও মৌসুমী রবিশষ্যর ব্যবসায়ী মো. দুলাল হাওলাদার এবং তার কয়েজন ভাইদের সাথে আবু তালেব নামে অপর এক ভাইয়ের সাথে গাছ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গাছের বিরোধের সমাধানের জন্য ভাইদের দুই পক্ষই চেয়ারম্যানের দারস্থ হন। তিনি উভয় পক্ষকে সালিশ মানিয়ে দিলেও করোনার কারণে তা হয়নি। সম্প্রতি সালিশ নির্ধারন করা চেয়ারম্যান নিজেই সালিশ উপেক্ষা করে গাছগুলো আবু তালেবকে দিয়ে দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই ব্যবসায়ীকে চেয়ারম্যান মো. আসাদুল হক নাসির সিকদার সোমবার (৩১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে রনগোপালদী বাজারের একটি দায়ের দোকান থেকে ডেকে তার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে কয়েকজন মিলে মারধর করেন। সেই সাথে ওই ব্যবসায়ীর কোমরে থাকা নগদ সাতাশি হাজার টাকাও চেয়ারম্যান লোকজন রেখেন দেন ও ৬টি সাদা কাগজে সই রাখা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ঘটনার দিন আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আদালত পিবিআইকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয় রনগোপালদী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুল হক নাসির সিকদার বলেন, মারধরের ঘটনা সত্য নয়। ওই ব্যবসায়ীকে কোন মরধর করা হয়নি।’