বাউফলে ধর্ষণের উদ্দেশে খাবারে ঘুমের ওষুধ দিয়ে যুবক ধরা, অসুস্থ ৫

প্রকাশের তারিখ: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০ | ৯:১৫ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ধর্ষণের উদ্দেশে মা ও মেয়েসহ একই পরিবারের ৫ জনকে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জসিম উদ্দিন (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। অসুস্থদের বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের দক্ষিণ চর ওয়াডেলে গ্রামে শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পরে জসিম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি স্থানীয় এক জেলের ঘরের ঢুকে রান্না করা খাবের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। এ সময় ঘরে থাকার ওই জেলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে (১৩) দেখে ফেলে এবং তার ঘরে আসার কারণ জানতে যায়। তখন জসিম বলেন, ‘কি রান্না করেছো তা দেখতে এসেছি।’ এই বলে তিনি চলেন যান। পরে রাত ৮টার দিকে তারা খাবার খেয়ে কিছু সময় পর অচেতন হয়ে পরে। সকালে ওই জেলের বাবা ও মা তাদেরকে অচেতন অবস্থায় দেখেন। সাঁড়া না পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের ডেকে আনেন।

এসময় অসুস্থ অবস্থায় ওই জেলের ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে জানান, জসিম হাওলাদার ঘরে এসেছিল। তিনি হয়তো খাবারের সাথে কোন কিছু মিশিয়ে দিয়েছেন। এরপর স্থানীয় লোকজন জসিম হাওলাদারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি রান্না করার খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা শিকার করেন। ঘটনার সময় ওই জেলে বাড়ি ছিলেননা। মাছ শিকারের জন্য নদীতে ছিলেন। ঘটনা শুনে রোববার সকালে তিনি বাড়ি আসেন।

চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ফারুক হোসেন, জানান, আটক জসিম হাওলাদার ধর্ষণের উদ্দেশে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়ারর কথা তাদের কাছে স্বীকার করেছেন।

খবর পেয়ে বাউফল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জসিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

অসুস্থদের রোববার সকাল ৯টার দিকে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুপুরে ওই জেলের স্ত্রী ও বড় মেয়ে ও ছোট ছেলের জ্ঞান ফিরলেও রোববার বিকাল ৫টা পর্যন্ত অন্য দুই জনের জ্ঞান ফিরেনি।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎক জানিয়েছেন, তারা সবাই শারিরীক ভাবে অসুস্থ। সুস্থ হতে কয়েক দিন সময় লাগবে।

চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লা বলেন, ‘আটক জসিম হাওলাদার একজন খারাপ চরিত্রের লোক। এর আগেও তিনি এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছেন’।

আটককৃত জসিম হাওলাদার খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের উদ্দেশ খাবারের সাথে ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ। তারা সুস্থ হওয়ার পরে বক্তব্য শুনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host