পিরোজপুর প্রতিনিধি : সুপার সাইক্লোন “আম্পান” এর কারণে পিরোজপুর জেলায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পান শুরুর পরে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় দুই জন এবং ইন্দুরকানী উপজেলায় একজন মারা গেছে বলে বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকালে জানান জেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মোজাহারুল ইসলাম।
নিহতরা হলো মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের গিলাবাদ গ্রামের মৃত মজিদ মোল্লার ছেলে শাহজাহান মোল্লা (৫৫) বুধবার সন্ধ্যার পরে কলেজের পিছনে বাসায় যাওয়ার পথে দেয়াল ভেঙে তার ওপর পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। অপরদিকে মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ধুপতি গ্রামে মৃত মুজাহার বেপারীর স্ত্রী গোলেনুর বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধা ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ঝুঁকিপূর্ণ ঘর থেকে পাশের ঘরে যাওয়ার পথে বাতাসের তীব্রতায় পা পিছলে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান এবং ইন্দুরকানী উপজেলার উমিদপুর এলাকার মৃত মতিউর রহমানের পুত্র শাহ আলম (৫০) রাতে বাড়িতে পানি প্রবেশ করলে ঘরেই আতঙ্কীত হয়ে সে ঘরের ভিতরে মারা যায়।
এদিকে বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যায় প্রবল গতিতে পিরোজপুর জেলার উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে ঘুর্ণিঝড় আম্পান। রাতভর চলে ঝড় ও বৃষ্টি।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ চাপা পড়ে ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরের টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার মাছের ঘের ও ফসলি জমি। এছাড়া হাজার হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। ঝড়ের প্রভাবে গত দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন রয়েছে।