ঝালকাঠিতে সরকারি চাকরি না পাওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের পরে দ্বিতীয় বিয়ে

প্রকাশের তারিখ: অক্টোবর ১১, ২০২০ | ৮:০৪ অপরাহ্ণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: সরকারি চাকরি না পাওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের পরে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সিদ্বার্থ বড়াল (৪০) নামে এক স্বাস্থ্য সহকারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ১৫ দিন কারাগারে থাকলেও নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ।

রবিবার সকালে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে নির্যাতনের শিকার এক সন্তানের মা মাধবী হালদার (৩১) এ অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত সিদ্বার্থ বড়াল পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার গিলাতলা গ্রামের শৈলেন্দ্রনাথ বড়ালের ছেলে। তিনি স্থানীয় শাখারীকাঠি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি করছেন।

মাধবী হালদার ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের কাপড়কাঠি গ্রামের মৃত নির্মল হালদারের মেয়ে।

মাধবি জানান, ২০০৯ সালে সিদ্বার্থ বড়ালের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পরে নাজিরপুরের গিলাতলা গ্রামের শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করেন তারা। ২০১১ সালে তাঁর এক পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। এ অবস্থায় সন্তানের বয়স পাঁচ বছর হলে স্কুলে ভর্তির জন্য তারা নাজিরপুর শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এর পর থেকে তাকে (মাধবি) সরকারি চাকরি নেওয়ার জন্য চাপ দেয় সিদ্বার্থ। বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও তিনি সরকারি চাকরি পাননি। এতে ক্ষুব্দ হয়ে স্বামী সিদ্বার্থ নির্যাতন শুরু করেন। পরে তিনি প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

এ ব্যাপারে সিদ্বার্থ বড়াল মুঠোফোনে বলেন, মাধবি আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে, আমি জেলেও ছিলাম। বিষয়টি আদালতেই ফয়সালা হবে। এর বাইরে আমি কিছু ফোনে বলেতে পারবো না।

নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে রাব্বী বলেন, সিদ্বার্থ বড়াল স্ত্রীর মামলায় কারাগারে ছিলেন, এটা আমাদের জানা ছিল না। জেল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে এ ব্যাপারে কিছুই জানায়নি। যদিও মাধবি আমাদের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন, কিন্তু এটা সঠিক পদ্ধতি নয়। কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের বিষয়টি অবগত করলে, সিদ্বার্থের ব্যাপারে আইনগত যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা করা হবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host