উৎকোচের বিনিময়ে মামলার নথি গায়েবঃ অসহায় নারীর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশের তারিখ: অক্টোবর ১১, ২০২০ | ৮:৩১ অপরাহ্ণ

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার নথি গায়েব করার অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী মামলার বাদী সালমা বেগম। আজ (রবিবার) বরগুনার তালতলী প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন উপজেলার আলীর বন্দর গ্রামের সিদ্দিক দফাদারের কন্যা সালমা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সালমা বেগম বলেন, ২০১৫ সালের ১৯ জুন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দি এলাকার দেলোয়ার হোসেন মোল্লার পুত্র আবুবকর ছিদ্দিক মামুনের সাথে পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আমার পিতা যৌতুক হিসেবে আমার স্বামীকে নগদ ১ লক্ষ টাকা এবং ১ লক্ষ টাকা মূল্যের উপহার সামগ্রী ও মালামাল প্রদান করেন। বিয়ের বছর খানেক যেতে না যেতেই স্বামী আবুবকর ছিদ্দিক মামুন মোটরসাইকেল কেনার জন্য আরো ১ লক্ষ টাকা যৌতুক টাকার দাবী করেন। আমার পিতার পক্ষে স্বামীর এ দাবী মেটানো সম্ভব না হওয়ায় আমার উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। এক পর্যায় শশুর, শাশুরী ও স্বামী আমাকে মারধর করে তাদের বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। তখন আমি উপায়ান্ত না পেয়ে বাধ্যহয়ে পিতার বাড়ীতে চলে আসি।

এরপর ২০১৮ সালে অ্যাড. খাইরুল ইসলামের মাধ্যমে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী আবুবকর ছিদ্দিক মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। যাহার নং-৫৪৫/১৮। করোনায় আদালত বন্ধের পর মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে আমার আইনজীবির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান মামলার নথি হারানো গেছে। নথি পাওয়া গেলে জানানো হবে।

ভূক্তভোগী সালমার অভিযোগ বিবাদীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কোর্ট পেশকারের মাধ্যমে মামলার নথি গায়েব করা হয়েছে। এ কারনে মামলার পরবর্তি তারিখও জানা যায়নি এবং মামলার কোন অগ্রগতি নেই।

এ বিষয় ভূক্তভোগী সালমা বেগমের আইনজীবি অ্যাড. খাইরুল ইসলাম অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক বিবাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন। মামলার কপি আমার কাছে রয়েছে তবে আদালতের নথি পেশকার খুজে পাচ্ছেন না। নথি খুজে না পাওয়ার কারনে মামলার পরবর্তি তারিখ জানতে পারিনি। নথি খুজে পাওয়া গেলে মামলার পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী মামলার বাদী সালমা বেগমের পিতা সিদ্দিক দফাদার উপস্থিত ছিলেন।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host