এসপি জাহিদের আন্তরিকতায় মিলিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলো পুলিশ

প্রকাশের তারিখ: অক্টোবর ১৭, ২০২০ | ৮:৩৯ অপরাহ্ণ

এম.এ.আর নয়ন, স্টাফ রিপোর্টার:


৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মরিয়ম আক্তার মিলি (১৪) গত শনিবার (১০ই অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার সময় বান্ধবীর বাড়ীতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাত ঘনিয়ে আসা সত্ত্বেও মিলি বাড়িতে ফিরে না আসলে তার মা ফাতেমা খাতুন (৪০) সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে বিচলিত হয়ে পড়েন। মিলি খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মিলন হোসেনের মেয়ে। স্থানীয় জনগণের পরামর্শে পরের দিন রবিবার (১১ই অক্টোবর) দামুড়হুদা থানায় হাজির হয়ে তার মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছে না মর্মে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন মিলির মা। চুায়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে দামুড়হুদা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আব্দুল বাকী সাধারণ ডায়েরিটির তদন্ত শুরু করেন।
তদন্তকালে একটি অজ্ঞাত মোবাইল কললিষ্টের সূত্র ধরে তদন্তকারী দল বিপথগ্রস্থ ও অপরিণত বয়সের মিলি (১৪)’কে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার করিহাটা গ্রাম থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার করে জানা যায় সে অজ্ঞাত ফোনে কথা বলার সূত্রে প্রেমে পড়ে বাড়ি ছাড়েন। ভিকটিম’কে উদ্ধার পূর্বক তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলে তিনি খুঁশিতে আবেগ আপ্লুত হয়ে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় ভিকটিমের মা ফাতেমা খাতুন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ও দামুড়হুদা থানার উদ্ধারকারী টিমকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বিপথগ্রস্থ এবং অপরিনত বয়স্ক ভিকটিমকে উদ্ধার পূর্বক তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পুলিশের সুনাম বৃদ্ধি করায় পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল বাকী’কে অভিন্দন জানান। এ সময় পুলিশ সুপার জেলা পুলিশের সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি দু’একজন পুলিশ সদস্যের অপকর্মের কারণে পুলিশের সকল ভাল কাজ যেন প্রশ্নের সম্মুক্ষীন না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host