বর্তমান সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর -শ. ম. রেজাউল করিম এমপি

প্রকাশের তারিখ: অক্টোবর ১৯, ২০২০ | ৪:৩৩ অপরাহ্ণ

পিরোজপুর প্রতিনিধি ঃ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সরকার কঠোর ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিয়মিত খাদ্য নিরাপদ রাখার জন্য মনিটরিং করা হচ্ছে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে, জরিমানা এমনকি জেলেও পাঠানো হচ্ছে ব্যবসায়ীদের সর্তক করার জন্য। বর্তমান সরকার দেশের সব নাগরিকের জন্য মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।
জীবিকার নিশ্চয়তা, খাদ্য ও পুষ্টি অধিকার নিশ্চিতের জন্য খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের দাবিতে পিরোজপুরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী এ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম। সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকালে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপল¶ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণউন্নয়ন সমিতি ও খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) বাংলাদেশের আয়োজনে শহরের টাউন ক্লাব মিলনায়তেন এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব নাগরিকদের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চয়তার করার জন্য সকল স্থরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সরকার নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য আর্থিক প্রনোদনা সহ কৃষকের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে।
সভায় গণউন্নয়ন সমিতির নির্বাহী পরিচালক জিয়াউল আহসানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, প্রেসক্লাব সভাপতি মনিরুজ্জামান নাসিম আলী।
এর আগে একই দাবীতে শহরের টাউন ক্লাব সড়কে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সংবিধানে খাদ্যকে জীবনধারণের মৌলিক চাহিদা হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও ২০১৯ সালের বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশ ৮৩তম অবস্থানে রয়েছে।, করোনার লকডাউনে দেশের প্রায় ৯৮.৩ শতাংশ দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ¶তিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৮৭ শতাংশ দরিদ্র মানুষ পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য সংকটে ভুগেছে।তাই খাদ্য অধিকার বিষয়ক আইন প্রণীত হলে সব মানুষের খাদ্য ক্রয়ের জন্য আয়, খাদ্যের জোগান এবং সংস্কৃতিভেদে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি হবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host