বানারীপাড়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে দূর্বার দূরন্ত গতিতে ছুটে চলছেন রাহাদ সুমন

প্রকাশের তারিখ: অক্টোবর ৩০, ২০২০ | ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ

বিশেষ প্রতিনিধি

বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে নয়। দেশে করোনাকাল শুরু হওয়ার পর থেকেই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কর্মহীন পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এই ওয়ার্ড’র কাউন্সিলর প্রার্থী ও বানারীপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং বানারীপাড়া পৌর শাখা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাহাদ সুমন। শুধু করোনাকালেই নয় পবিত্র রমজান মাসে তার ওয়ার্ডের অসহায় পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী এবং ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আজহার সময়ও তিঁনি প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে নিজে হাজির হয়েছেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। এ সময় তিঁনি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্য সামগ্রীর ৫ শতাধিক প্যাকেট তাঁর ওয়ার্ডের অসহায় পরিবারের মধ্যে উপহার দেন।

গত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েও মানুষের ভালোবাসা পেতে তাদের সঙ্গ ছাড়েননি রাহাদ সুমন। দক্ষিণ নাজিরপুর ২নং ওয়ার্ডের মানুষদের আরও আপন করে নিতে প্রতিনিয়িত খোঁজ-খবর রাখছেন তাদের। এছাড়াও ওয়ার্ডের অসহায় অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা, যাদের তেমন মাথা গোঁজার ঠাই নেই তাদেরকে সরকারি বাসস্থান পাইয়ে দেয়া, ঢেউটিন দেয়া, এবং প্রসূতি রোগীদের সিজারিয়ান অপারেশনে সহযোগীতা করা। দরিদ্র পরিবারে সোলার বিদ্যুৎ পাইয়ে দেওয়া। শীতার্থ মানুষদের কম্বল দেয়া সহ সকল প্রকার সহযোগীতার হাত বারিয়ে এগিয়ে চলছেন ওয়ার্ডটিকে একটি মডেল ওযার্ডে রূপদান করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। নিঃস্বার্থ ভাবে তাঁর এগিয়ে চলার সারথী হিসেবে তিঁনি ২নং ওয়ার্ডের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের ভালোবাসা কামনা করেছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় লক্ষী পুজা উপলক্ষে তার ওয়ার্ডের প্রায় অর্ধ-শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারের মাঝে নিজ হাতে পূজার সামগ্রী উপহার দিয়েছেন। যার মধ্যে ছিলো ময়দা, সূজি, চিনি, নারিকেল, আগরবাতি ইত্যাদি। উল্লেখ থাকে যে নির্বাচেনের পরে পরাজিত প্রার্থীকে তার এলাকার ভালোমন্দে দেখা যায় না। তবে রাহাদ সুমন তার সম্পূর্ণ বিপরীত মূখি একজন কাউন্সিলর প্রার্থী। তিঁনি গত নির্বাচনে হেরে যাবার পর থেকে তার নিজ জন্মস্থান ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামটিকে মডেল ওয়ার্ডে রূপান্তর করতে দূর্বার-দূরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছেন। আরও কাছে গিয়েছেন সাধারণ মানুষের।

এর বাস্তব উদাহরণ দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামটি ২৫/৩০ বছর আগে উপজেলার মানচিত্র থেকে প্রায় হারিয়ে গিয়েছিলো। ওই সময় শত শত পরিবার তাদের বসত ভিটা ফসলী জমি হারিয়েছিলেন। এছাড়াও ওই গ্রামটির মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুল, জামে মসজিদ ও ঈদগাহ’ও নদীর ভাঙ্গনে হারিয়ে গিয়েছিলো। এরপরে প্রায় ১যুগ আগে দক্ষিণ নজিরপুর গ্রামের হারানো সেই সম্পত্তি জেগে উঠতে শুরু করে। তবে জেগে ওঠা ওই সম্পত্তির ওপরে নজর পরে স্থানীয় একটি কু-চক্রি মহলের।

এরপরে রাহাদ সুমনকে তার নিজ জন্মভূমির মানুষের সম্পত্তি ফিরে পেতে গ্রামবাসী তাকে তাদের আন্দোলনে সামিল হতে আহবান জানান। পরে রাহাদ সুমনকে দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামের আপামর জনসাধারণ গ্রাম রক্ষা কমিটির আহবায়ক নির্বচিত করেণ। সেদিন কয়েক শতাধিক সম্পত্তি হারানো পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। রাহাদ সুমন নিজ গ্রামের মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে নেমে পড়েন রাস্তায়। গ্রাম রক্ষার জন্য তার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন। গ্রামবাসীকে নিয়ে আন্দোলন করার ফলে বর্তমানে ভূমিগ্রাসী ওই মহলটি পিছু হটতে শুরু করেছে বলে জানাগেছে। তাই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মানুষ এমন একজন লড়াকু মনভাবা প্রার্থীকেই তাদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে দেখতে চায় বলে আওয়াজ উঠেছে সাধারণ পরিবারের মধ্য থেকে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host