দুর্নীতির বরপূত্র বাবুগঞ্জ শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক হুমায়ুন কবির

প্রকাশের তারিখ: ডিসেম্বর ২১, ২০২০ | ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

এবি সিদ্দীক ভুইয়া: বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক হুমায়ুন কবিরের সহযোগিতায় অনৈতিক ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষকের অর্থ আত্মসাত।

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা/কর্মচারী হিসাবে চাকুরীবিধি অনুযায়ী প্রতি তিন বছর পর পর একটি মূল বেতনের সম পরিমাণ অর্থ শ্রান্তি বিনোদন ভাতা হিসাবে উত্তোলন করতে পারবেন। কিন্তু সরকারি নিয়ম লংঘন করে ৫ শিক্ষক প্রতি বছর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা বাবদ অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন করেন।

তথ্য সূত্রে, বাবুগঞ্জ সরকার মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল হক শ্রান্তি বিনোদন ভাতা বাবদ গত ২০১৭/২০১৮/২০২০ সালে সরকারি নিয়ম লংঘন করে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড খানাপুরা শাখায় নিজ হিসাব নম্বরে (০৩২১১১০০২১৪৪৫) অতিরিক্ত ৭৫ হাজার ৭শত ১০ টাকা উত্তোলন করে আত্নসাত করেছেন।

হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেন বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে সরকারি নিয়ম লংঘন করে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড খানপুরা শাখায় নিজ হিসাব নম্বরে (০৩২১১১০০৫৯৬৭১) অতিরিক্ত ২ লক্ষ ৯ হাজার ৯শত ১০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন।

বাবুগঞ্জ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ঐশী তাবাসসুম শ্রান্তি বিনোদন ভাতা বাবদ সরকারি নিয়ম লংঘন করে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড খানাপুরা শাখায় নিজ হিসাব নম্বরে (০৩২১১১০০৭০৬১৫) অতিরিক্ত ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪শত ৮২ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন।

কয়াদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চ.দা.) গাজী হারুন অর রশীদ শ্রান্তি বিনোদন ভাতা বাবদ গত ২০১৬/২০১৭/২০১৮/২০২০ সালে সরকারি নিয়ম লংঘন করে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড খানাপুরা শাখায় নিজ হিসাব নম্বরে (০৩২১১১০০১৭১০৭) অতিরিক্ত ৭১ হাজার ৮শত ৫৫ টাকা উত্তোলন করে আত্নসাত করেছেন।

হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমেনা বেগম শ্রান্তি বিনোদন ভাতা বাবদ গত ২০১৭/২০১৮ সালে সরকারি নিয়ম লংঘন করে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড খানাপুরা শাখায় নিজ হিসাব নম্বরে (০৩২১১১০০৪২৫৭২) অতিরিক্ত ৩৭ হাজার ৯শত ৫০ টাকা উত্তোলন করে আত্নসাত করেছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের একাউন্টের মাধ্যমে সরকারি কোষাগার থেকে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা বাবদ অতিরিক্ত টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেন। তারা বলেন শিক্ষা অফিসের অসর্তকতার কারনে এমনটা হয়েছে।

বাবুগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী হুমায়ুন কবিরের কাছ থেকে শিক্ষকদের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে এরিয়ে যান এবং মতামত দিতে অনিহা প্রকাশ করে অজুহাত দিয়ে অফিস কক্ষ ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আকবর কবির বলেন, ৫ শিক্ষকের অনৈতিক ভাবে সরকারি নিয়ম লংঘন করে অতিরিক্ত অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি আমার দৃষ্টি গোচরে আসলে তাদেকে অফিস কর্তৃক তলব করা হয়েছে। সরকারি নিদের্শনা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host