হাইকোর্টের রুলের পরেও দিঘী ভরাটের সিদ্ধান্তে অনড় আলী চেয়ারম্যান

প্রকাশের তারিখ: জানুয়ারি ৪, ২০২১ | ৪:০১ অপরাহ্ণ

মামুন-অর-রশিদ: বরিশালের দুই শতাধিক বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জলাধার (দীঘি) হাতিম মীরার দিঘী ( প্রাচীন শিতারামের দিঘী) বালু দিয়ে ভরাট এবং এর মালিকানা দাবির বিষয়ে সোমবার (৪ জানুয়ারি) রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দীঘি ভরাট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এসএ ও আরএস পর্চা ম্যাপ অনুসারে দীঘিটি পূর্বের অবস্থায় কেন ফেরত নেয়া হবে না এবং দীঘিটির চারপাশে পিলার দিয়ে কেন সৌন্দর্য বর্ধন করে সংরক্ষণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। তাছাড়া ভরাটের বিষয়টি তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বরিশাল জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালককে এ বিষয়ে তদন্ত করে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হাসান তারিক পলাশ। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট আরিফ আহমেদ।

এই রুল জারির পরেও দিঘীটি ভরাটের সিদ্ধান্তে অনড় আলী চেয়ারম্যান। বরিশাল বাণীকে তিনি বলেন, ঐ দিঘীটা আমরা কয়েকজন মিলে কিনেছি। ওটা ভরাট করে আমরা প্লট করে বিক্রি করবো। তবে হাইকোর্টের কোন আদেশ আছে কিনা তা তার জানা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

এর আগে বরিশাল নগরীর সবচেয়ে বৃহৎ ও দুই শতাধিক বছরের প্রাচীন জলাধার বালি দিয়ে ভরে ফেলা এবং সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের মালিকানা দাবি নিয়ে জনপ্রিয় অনলাইন ‘বরিশাল বাণী’ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বরিশাল নগরীর সবচেয়ে বৃহৎ ও দুই শতাধিক বছরের প্রাচীন জলাধার বালি দিয়ে ভরে ফেলছে জমির মালিকানা দাবি করা সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান। ইতোমধ্যে ট্রাকে করে বৃহৎ এই জলাধারের কিয়দাংশ ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এত বড় জলাধার বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন বাধা দিলেও চুপিসারে প্রতিনিয়ত ভরে ফেলা হচ্ছে এই সম্পদ। জলাধারের কাগজপত্রে এটি সীতারামের দীঘি, পানীয় জলের জন্য সাধারণের ব্যবহার্য— এই কথাটি উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত বালি দিয়ে ভরে হচ্ছে এই প্রাচীন ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সম্পদ।’

এতে আরও বলা হয়, ‘বরিশাল নগরীর ২৯ ওয়ার্ডের আওতাধীন কাশীপুর বাজার ছাড়িয়ে গেলে চোখে পড়বে বৃহৎ আকারের এই দীঘিটি। স্থানীয়ভাবে দীঘিটি সীতারামের দীঘি নামে সুপরিচিত। এক সময়ে চন্দ্রদ্বীপ রাজবংশ অন্তরগত এই ২.৯৮ একরের দীঘি ছাড়াও ১.৩৯ একর জায়গায় স্থাপিত হয়েছে ইউনিয়ন ভূমি আফিস, যা একটি বৃহদাকার ভবন নিয়ে গঠিত।’

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host