ফের মানবতার হাত বাড়ালেন ঝালকাঠির যুবক ছবির

প্রকাশের তারিখ: জানুয়ারি ১৬, ২০২১ | ৬:১৩ অপরাহ্ণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠির চরম হতদরিদ্র নারী রহিমার মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকো জরাজীর্ণ হয়ে গত ৫ বছর ধরে একটু একটু করে ভেঙে পড়ছে: ফেসবুকে ভাইরাল হলেও পাশে দাড়ানি কেই। অবশেষে ঢেউটিন, ঘর মেরামতের জন্য অর্থ আর খাদ্য সামগ্রী নিয়ে এগিয়ে এলেন ঝালকাঠির যুবলীগ নেতা আলোকিত সেই ছবির হোসেন!আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,/রহিমন্দীর ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।/বাড়ি তো নয় পাখির বাসা-ভেন্না পাতার ছানি,/একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।/একটুখানি হওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,/তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।/ পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক’খান হাড়,/সাক্ষী দেছে অনাহারে কদিন গেছে তার।

পল্লী কবি জসীম উদ্দীন এর আসমানীর চেয়েও ভয়ংকর দাদিদ্রের সাথে নিত্য সংগ্রাম রহিমা বেগমের। স্বামী পঙ্গ। ঘরে শুয়ে কিংবা হাসপাতালের বিছানাতেই কাটে তার বারোমাস। রহিমা বেগমের একমাত্র ছেলে ১৫/১৬ বছর আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। আর ফেরেনি সে। তিন মেয়ে থাকলেও তাদের বিয়ে হয়েছে শ্রমজীবি পরিবারে। তাদের ঘরেও নুন আন্তে পান্না ফুরোয়।ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের জীবনদাশকাঠি গ্রামের হতদরিদ্র এই নারী স্বামীর ৪ শতাংশ জমির ওপর যে ঘরে বসবাস করছেন তা গত ৫ বছর ধরে একটু একটু করে ভেঙে পড়তে পড়তে এখন বিলিন প্রায় । তীব্র শীত আর রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করেই খুপড়ির মধ্যে প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়ে কাটছিল চরম দারিদ্রের সংসার।

সম্প্রতি রাজাপুর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মু. আল-আমীম বাকলাই সেখানে গিয়ে এই নারীর ঘরটির ছবি তুলে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করেন। আর তারপর সে দৃশ্য ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তবে ভাইরাল মাত্রই।সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসেনি কেউ। অবশেষে এগিয়ে এলেন ঝালকাঠির আলোকিত সমাজ সেবক মো: ছবির হোসেন। তিনি দুই বান টিন, ঘর মেরামতের জন্য নগদ অর্থ আর খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ছুটে যান ওই অসহায় নারীর জীর্ন কুটিরে। শনিবার সকালে ঝালকাঠি শহর থেকে ছুটে যান সমাজ সেবক ও যুবলীগ নেতা ছবির হোসেন। সাথে নিয়ে যান নতুন ঘরের জন্য দুই বান ঢেউটিন, ঘর মেরামতের জন্য নগদ অর্থ এবং খাদ্য সামগ্রী। স

মাজের বিবেকবান মানুষ কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই অসহায় নারীর পাশে না দাড়ালেও এগিয়ে এসেছেন আলোকিত যুবক ছবির হোসেন। তিনি এর আগেও অসহায় দরিদ্র মানুষকে ঘর তুলে দিয়ে, ব্যবসায় পুঁজি দিয়ে এবং করোনায় আর্থিক ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। এবার এই হতদরিদ্র নারীকে পাশে দাড়িয়ে করেছেন মানবতার দৃষ্টান্ত।

আলোকিত যুবক ছবির হোসেন বলেন, এটা আমার দায়িত্ব। মানুষকে কিছু দিতে পারলে আমি পরিতৃপ্তি পাই।আর ঘরের জন্য নতুন টিন, নগদ অর্থ আর খাদ্য সামগ্রী পেয়ে মহা আনন্দে ভাসছেন সেই অসহায় নারী রহিমা বেগম।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host