প্লাজমা ডোনেট করুন কোভিট-১৯ আক্রান্তদের জীবন বাঁচান !

প্রকাশের তারিখ: মে ২৮, ২০২০ | ১১:১৩ অপরাহ্ণ

ডাঃ আরিফুল ইসলাম (শে.বা.চি.ম.)- এর বিশেষ সাক্ষাৎকার গ্রহন করেছেন বরিশাল বাণী’র বিশেষ প্রতিবেদক কামরুল হাসান সোহাগঃ

ডাঃ আরিফুল ইসলাম বলেনঃ প্লাজমা (Blood Plasma) ডোনেশন খুবই সহজ ও নিরাপদ একটি প্রক্রিয়া। এ পদ্ধতিতে ডোনারের শরীর থেকে সংগ্রহীত রক্ত sterile tube এর মাধ্যমে সেন্ত্রিফিউজ (Centrifuge) মেশিনে যায়।Plasmapheresis পদ্ধতিতে রক্ত থেকে প্লাজমা আলাদা হয়ে একটি প্লাজমা ব্যাগ-এ জমা হয়। আর রক্ত পুনরায় ডোনারের শরীরে দিয়ে দেওয়া হয়। সময় লাগে মাত্র ৬০-৯০ মিনিট। ডোনারের কিছু মেডিক্যাল টেস্ট-ও বিনামূল্যে করা হয়।

উল্লেখ্য, প্লাজমার ৯০% ই পানি। তাই কেউ প্লাজমা দান করলে ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শরীর তা আবার পূরণ করে ফেলে। শুধু স্বাভাবিক খাবার আর যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করলেই চলবে।

চিকিৎসকগণ ডোনারের শরীরের ওজন এর হিসাবে ১০ মিলিলিটার/প্রতি কেজি প্লাজমা নিয়ে থাকেন। উদাহারন-কোনো ব্যক্তির ওজন যদি ৫০ কেজি হয় তবে মাত্র ৫০০ মিলিলিটার প্লাজমা নেওয়া হবে।

আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, একজন ব্যাক্তি প্লাজমা দান করার ৪৮ ঘণ্টা পর পুনরায় প্লাজমা দান করতে পারেন। অর্থাৎ একজন ব্যাক্তি সপ্তাহে ২ বার চাইলেই প্লাজমা দিতে পারেন নিরাপদে। এজন্য শুধু বেশি করে পানি আর স্বাভাবিক খাবার দাবার খেতে হবে। তারপরও যদি কারো আশংকা থাকে, অন্তত প্রতি সপ্তাহে ১ বার তো প্লাজমা ডোনেট করাই যায়।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host