বরিশালে লঞ্চ শ্রমিকদের কর্ম বিরতী, পল্টুন ফাকা

প্রকাশের তারিখ: জানুয়ারি ২৫, ২০২১ | ৫:৫৪ অপরাহ্ণ

শামীম আহমেদ :: বরিশাল জেলার হিজলার মেঘনার মিয়ার চরে ঘন কুয়াসায় নিজাম শিপিং কোং’এর এ্যাডভেঞ্চার-১ ও এ্যাডভেঞ্চার-৯ সংঘর্ষের ঘটনায় মেরিন কোর্টে চলমান মামলায় দুই লঞ্চের মাস্টার জামাল হোসেন ও মাস্টার রুহুল আমিনের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন মেরিন কোর্ট বিচারক।

সোমবার (২৫ জানুয়ারী) সকালে নিয়মিত মামলায় মেরিনকোর্ট আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে।
এই সংবাদ বরিশালে পৌঁছালে বরিশাল আধুনিক নৌ-বন্দরের পল্টুনে নোঙ্গর করা ঢাকাগামী প্রায় ৭ থেকে ৮টি লঞ্চের শ্রমিকরা জামিন বাতিল বাতিল করা লঞ্চ মাস্টারদের জামিন মঞ্জুর না করা পর্যন্ত তারা কর্ম বিরতীর ডাক দিয়েছে।

দুপুর ২টার দিকে বরিশাল নৌ-বন্দরের বাঁধা লঞ্চগুলো একে এক পল্টুন ত্যাগ করে বরিশাল সদর উপজেলার কির্তনখোলা নদীর অপর প্রান্তের চরকাউয়া নামক স্থানে নোঙ্গর করে রেখেছে।

আকষ্মিকভাকে ঢাকাগামী লঞ্চের শ্রমিকরা কর্মবিরতী ঘোষনা করায় অগ্রিম টিকিট কাটা কেবিন যাত্রীরা বিপাকে পড়েছে।

বরিশাল নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাস্টার আবুল হাসেম বলেন, গত বছরে মেঘনার মিয়ার চরে ঘন কুয়াসায় রাত আনুমানিক ১টার দিকে একই প্রতিষ্ঠানের দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এতে দুটি লঞ্চের কোন যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এঘটনায় দুই লঞ্চের মাস্টারসহ চারজনের সার্টিফিকেট সনদ চার মাসের জন্য জব্দ করে। পরবর্তীতে সরকার বাদী হয়ে মেরিন কোর্ট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।

আজ মাস্টার রুহুল আমিন ও মাস্টার জামাল হোসেন স্বেচ্ছায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, এখানে কোন সংগঠন কর্ম বিরতীর পক্ষে ডাক দেই নাই। শ্রমিকরা তাদের সহযোদ্ধাদের মুক্তির দাবীতে কর্ম বিরতী ঘোষনা করেছে।

এব্যাপারে কয়েকটি লঞ্চের স্টাপরা বলেন, তারা চান না কর্ম বিরতী ডেকে সাধারন যাত্রীদের ভোগান্তি দিতে তারপরও বাধ্য হয়ে সরকারী কিছু কর্মকর্তার এমন সিদ্ধান্তের কারনে তারা এই কর্ম বিরতীতে যেতে বাধ্য হয়েছে।’

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host